যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত শেষ করুন

2013-01-06-18-50-36-50e9c77c3f665-03যুদ্ধকালে নিরস্ত্র নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধের ওপর সশস্ত্র দখলদার বাহিনীর আক্রমণ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও নির্যাতনই যুদ্ধাপরাধ। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশে এ রকম যুদ্ধাপরাধ ঘটেছে অসংখ্য। মূল যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লোকজন পার পেয়ে গেছে প্রথমেই। স্বাধীনতার পর ‘দালাল আইন’ করে এই দেশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম শুরু হয়। সে সময় এই আইনে বেশ কিছু রাজাকার ও আলবদর নেতা আটক হয়, বিচারও হয় কারও কারও। অন্যদিকে, তখন এই আইনের অপপ্রয়োগ নিয়েও অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে ১৯৭৩ সালে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বাদে বাকি সবার জন্য ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করা হয়। এর ফাঁক দিয়ে অনেকেই বের হয়ে আসে। ১৯৭৫-এর পর এই বিচার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বৈধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সক্রিয় ব্যক্তিরাও সমাজে, রাজনীতিতে আবারও ফিরে আসতে থাকে।

এ রকম পরিস্থিতিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে প্রথম আন্দোলন সূচিত হয় সত্তরের দশকের শেষে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল (অব.) কাজী নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এই আন্দোলন সারা দেশে বিস্তৃত করে। আন্দোলন বেগবান হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কাজী নূরুজ্জামানকে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু তত দিনে জিয়া সরকার তাদের ওপরই নির্ভরশীল হয়ে গেছে। সরকারের ভেতর কিংবা আশপাশে যুদ্ধাপরাধী বা তাদের সমর্থকদের ভিড়। নূরুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠকের কিছুদিনের মধ্যেই জিয়াউর রহমান নিহত হন।

আশির দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়ই রাজনীতির ময়দান, বিশেষত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী নিজেদের অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে। তারা এ ক্ষেত্রে অনেকখানি সফলও হয় যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত হতে দেওয়ার কারণে। ৮ দল, ৭ দল, ৫ দল ও জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলনের কর্মসূচি ও খবরাখবর তখন এভাবেই প্রকাশিত হতে থাকে। সরকারের দমন-পীড়ন ও হত্যা-নির্যাতনে ৮ দল, ৭ দল, ৫ দলের সব দলই আক্রান্ত হলেও জামায়াতে ইসলামী তখন বেশ নিরাপদে ছিল। একদিকে প্রশাসনের প্রশ্রয়, অন্যদিকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশীদারের বৈধতা নিয়ে এই দশকেই জামায়াতে ইসলামী দলের সম্প্রসারণ ঘটাতে সমর্থ হয়। এ ছাড়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও তাদের দক্ষ ও কৌশলী নানা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের কাঠামোগত সমন্বয় কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক তৎপরতার সুযোগ উন্মুক্ত হয়। ক্রমে ক্রমে শিক্ষা, ব্যাংক, বিমা, কম্পিউটার, এনজিও সব ক্ষেত্রে জামায়াত দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের অর্থনৈতিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে। সরকারি প্রশাসন, বিনিয়োগ খাত, এনজিও ও কয়েকটি দেশের দূতাবাস মিলে জামায়াতের একটি শক্ত নেটওয়ার্ক দাঁড়ায়। একদিকে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ, অন্যদিকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, দুই পক্ষের জন্যই অনুকূল সময় ছিল এরশাদের স্বৈরশাসন।

জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সন্ত্রাসী তৎপরতাও শুরু করে এই দশকেই। আশির দশকের দ্বিতীয় ভাগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিবিরের সন্ত্রাস, রগ কাটা ও হত্যার বহু খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। শিবিরের সঙ্গে প্রধানত সংঘাত হয় বাম সংগঠনগুলোর এবং কোথাও কোথাও ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সঙ্গেও অনেক রক্তাক্ত সংঘাত দেখা যায়।

আশির দশকের শেষ দিকেই ‘মুক্তিযুদ্ধ গবেষণাকেন্দ্র’ থেকে প্রকাশিত হয় একাত্তরের ঘাতক দালালেরা কে কোথায়? যদিও সরকারিভাবে ঘাতকদের তালিকা এখনো তৈরি হয়নি। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতন ঘটে একটি গণ-অভ্যুত্থানের মতো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে। কিন্তু বিজয়ের আনন্দ ম্লান করে টিভির পর্দায় ৮ দল, ৭ দল, ৫ দল ছাড়াও জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্বাস আলী খান হাজির হন ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের’ অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে।

আশির দশকে রাজনীতিতে এভাবে পুনর্বাসিত হয়ে এবং পরে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি সরকার গঠনে সমর্থন দিয়ে নাগরিকত্ব হারানো গোলাম আযমকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমির ঘোষণার সাহস সঞ্চার করে জামায়াত। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর জন্য গোলাম আযমের দোয়া চাইতে গেলে দেশব্যাপী ক্ষোভ ও হতাশা বেড়ে যায়। এসবের প্রতিক্রিয়াতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলন এক নতুন পর্বে প্রবেশ করে। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি কাজী নূরুজ্জামানের বাসায় প্রথম এ বিষয়ে সভা হয়, সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। কয়েক দফা সভার পর গঠিত হয় ১০১ সদস্যবিশিষ্ট ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। আহ্বায়ক হন জাহানারা ইমাম। দ্রুত এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। পরে এই কমিটির সঙ্গে আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে অনেক বাম দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে গঠিত হয় ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’। এরও আহ্বায়ক হন জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক গণ-আদালত অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় জামায়াতে ইসলামী নতুন প্রাণ ফিরে পায়, রাস্তায় নেমে আসে। নিজেদের রক্ষা করার সুযোগ হিসেবে তারা বিজেপির উগ্র হিন্দু ফ্যাসিবাদী তৎপরতাকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করে। আন্দোলনের মধ্য থেকে তখন নতুন স্লোগান তৈরি হয়েছিল, ‘গোলাম আযম আদভানি, দুই দেশের দুই খুনি’।

আন্দোলনের মধ্যে জাহানারা ইমামকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘আপনি কি মনে করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে?’ জাহানারা ইমাম স্পষ্টভাবেই বলেছিলেন, ‘এমনি এমনি হবে না; আন্দোলন থাকতে হবে।’ বারবার এই কথা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। যখন জাহানারা ইমাম এই বিশাল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তখন তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। এই ক্যানসারেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯৪ সালে।

জাহানারা ইমামের মৃত্যুতে তখন যে আমরা শুধু আমাদের পথপ্রদর্শক হারালাম তা-ই নয়, তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগে এই আন্দোলনকে হজম করে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোণঠাসা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতায় আসাও সম্ভব হলো। সমন্বয় কমিটির সভায় আমরা আন্দোলনের পিঠে ছুরি মারার এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছি। ১৯৯৫-৯৬ সাল ছিল বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির যৌথ আন্দোলনের বছর। বিএনপি একা একা নির্বাচন করতে গিয়ে প্রথমে একটি প্রহসন করল, তারপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে ক্ষমতা ত্যাগ করল।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেল। যুক্তিযুক্ত কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে সেবার কোনো কাজ হলো না। তত দিনে জামায়াত ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলনের আঘাত কাটিয়ে নিজেদের শক্তি আরও বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। একপর্যায়ে অধিকতর দর-কষাকষির ক্ষমতাসহ জামায়াত আবারও যুক্ত হলো বিএনপির সঙ্গে, গঠিত হলো চারদলীয় জোট। এবার তারা অধিকসংখ্যক আসন নিয়ে সরকারের অংশীদার। স্বাধীনতার ৩০ বছর পর, গণ-আদালত আন্দোলনের ১০ বছর পর যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে—এ রকম দুজন ব্যক্তি বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, বাংলা ভাই ইত্যাদি ঘটনার অংশীদার হয়ে জামায়াতে ইসলামী তত দিনে স্বরূপে আবির্ভূত।

অর্থনৈতিক নীতি, দুর্নীতি, দমন ও লুণ্ঠনে আশির দশক থেকে দেশ যেভাবে এগিয়েছে, তাতে এসব কাজে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির কোনো ফারাক করা যায় না। তবে ঐতিহাসিক কারণে আওয়ামী লীগের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি ভিন্ন সমর্থনবলয় তৈরির সুযোগ সব সময়ই থাকে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এটাই ছিল তার শেষ অবলম্বন। সুতরাং, যুদ্ধাপরাধীর বিচারের প্রতিশ্রুতি নিয়েই তাকে জনগণের সামনে যেতে হয়েছে।

ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথে গেছে আওয়ামী লীগ, ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। চিহ্নিত কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই বিভিন্ন কারণে জনগণের সংশয় কাটেনি। প্রথমত, এই আশঙ্কা বরাবরই থাকছে যে যেহেতু আওয়ামী লীগ একবার জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্য করেছে, বারবার নানা আপস-প্রবণতা দেখিয়েছে, তাদের একটি মহাবিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছে, সেহেতু যেকোনো সময় ভোট বা অন্য কোনো বিবেচনায় আবারও এ রকম কিছু করতে পারে। দ্বিতীয়ত, শুধু ১৯৭১ সালে নয়, এর আগে থেকেই জামায়াত বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রশক্তি। যেসব ইসলামপন্থী রাজনীতি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে বরাবর ভূমিকা পালন করেছে, জামায়াত তার অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, লবিং ইত্যাদি এখনো যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে নানাভাবে সক্রিয়। তৃতীয়ত, গত তিন দশকে বাংলাদেশে যে লুটেরা শ্রেণীর বিকাশ হয়েছে, ধনিক শ্রেণী গঠনের সেই প্রক্রিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ মুছে দখল-লুণ্ঠন-জালিয়াতির একটি শক্তিশালী চক্র তৈরি হয়েছে দেশে। এখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি একাকার। এই শ্রেণীমৈত্রীর শক্তি যে মুক্তিযুদ্ধের শত্রু-মিত্র বিভাজনরেখা মুছে দেয়, তার প্রমাণ অসংখ্য। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’র কথা বললেও আওয়ামী লীগের পিছুটান এখানেই।

বিএনপি-জামায়াতের ১৮ দলের আন্দোলনের বিস্তার ঘটেছে। রহস্যজনক কারণে জামায়াতিদের কাছে পুলিশ প্রায়ই মার খাচ্ছে। তার পরও এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে সরকার যদি নিজে পিছিয়ে না আসে, তাহলে এই বিচারের ন্যায্যতা এবং জনমতের যে শক্তি, তাতে কারও পক্ষে এই বিচার ঠেকানো সম্ভব নয়। কিন্তু প্রথম থেকেই এই বিচারকাজে সরকারের অদক্ষতা, অযত্ন, শৈথিল্য ও দুর্বলতা প্রকট হয়েছে। মন্ত্রীরা যথেচ্ছা বাচালতা করে বিচার-প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। খুনি-সন্ত্রাসীদের ক্ষমা-প্রশ্রয় ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী নানা চুক্তি করে সরকার ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। দখল, নির্যাতন, দুর্নীতি, লুণ্ঠন ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী অপকর্মের বিরুদ্ধে জনগণের নানা আন্দোলনের সামনে না দাঁড়াতে পেরে যখন-তখন যেকোনো আন্দোলনকে ‘যুদ্ধাপরাধী বিচার নস্যাতের আন্দোলন’ বলে সরকারি লোকজন প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের শক্তি জুগিয়েছেন।

৪১ বছর ধরে যুদ্ধাপরাধীদের ভার আমরা বহন করছি, আর সম্ভব নয়। এটা কোনো কাকুতি-মিনতি নয়, এটা আমাদের দাবি যে রাজনৈতিক খেলার ঘুঁটি না বানিয়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচার যথাযথভাবে যত দ্রুত সম্ভব শেষ করুন। আবোল-তাবোলের মধ্যে এই ইস্যুকে ঢোকাবেন না।

বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন যে জীবন পাওয়ার জন্য, বর্তমান দেশ তার থেকে বহু দূরে। সেই দেশ পেতে গেলে সামনে আরও লড়াই আছে। পরের অনেক বিচারও জমে আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমাদের অতীতের ভার থেকে মুক্ত করবে, সামনে অগ্রসর হওয়ার জন্য যা অপরিহার্য।

(জানুয়ারি ৭, ২০১৪ দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত)