মধ্যবিত্ত শ্রেণি দাঁড়াতে পারল না কেন

illustration race5 copy 2 61d9d87d0786eবাংলাদেশ ও বিশ্বজুড়ে অনেক পরিবর্তন মধ্যবিত্তকে স্পর্শ করছে। মধ্যবিত্ত জগতের ভাঙন, গঠন বা পুনর্গঠন এবং তার মধ্যকার নতুন উপাদান বা প্রবণতা অনুসন্ধান বাংলাদেশের গতিপথ অনুধাবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গতিশীল পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যবিত্ত সংজ্ঞায়িত করাটা খুব সহজ নয়। এটি একটি পিচ্ছিল ক্যাটাগরি, অনবরত যার মধ্যে স্থান পরিবর্তনের সম্ভাবনা ও চেষ্টা দেখা যায়। মধ্যবিত্ত বললে আমাদের চোখের সামনে ভাসে এক পরিপাটি পোশাকের ‘ভদ্র’ নর বা নারী। নিশ্চিত ধরে নেওয়া হয়, এই ভদ্রজন, বিশেষত পুরুষের একটি পেশা আছে; নিশ্চিত আয় আছে আর সর্বোপরি আছে ‘শিক্ষা’, মানে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি। এগুলো ছাড়া কাউকে দেখলে মধ্যবিত্ত শব্দটি আসে না। আক্ষরিকভারে বিত্ত বা আয়ের বিচার করলে এভাবে দেখা অবশ্য ঠিক হয় না। মধ্যবিত্ত শব্দটির মধ্যেই আয়ের বিচার আছে। বিত্তের দিক থেকে যারা মাঝামাঝি তারাই সে হিসেবে মধ্যবিত্ত। কিন্তু মাঝামাঝি মানে কী? যে ইংরেজি শব্দ থেকে অনুবাদে মধ্যবিত্ত শব্দটি আমরা পেয়েছি, সেটি হলো ‘মিডল ক্লাস’। এর সরল বাংলা হলো মধ্য শ্রেণি। বাংলায় কীভাবে শ্রেণি শব্দটির জায়গা বিত্ত নিয়ে নিল, সেটা এক বিশেষ খেয়াল করার বিষয় হতে পারে।

‘মিডল ক্লাস’ একটি জনগোষ্ঠী, ধারণা এবং পরিচয় আমরা পাই ইউরোপে ফরাসি বিপ্লবেরও আগে থেকে। এই জনগোষ্ঠী হলো ভূস্বামী সামন্ত প্রভু এবং রায়ত কৃষকের মাঝামাঝি মানুষ। ইউরোপে সামন্তবাদী ব্যবস্থা যত ক্ষয় ও ভাঙনের দিকে যেতে থাকে, তত এই জনগোষ্ঠীর অবয়ব স্পষ্ট হতে থাকে, আয়তনও বাড়তে থাকে। ফরাসি ভাষায় এদের বলা হতো বুর্জোয়া। এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছিলেন প্রধানত ব্যবসায়ী, কারিগর, পরে আরও যুক্ত হন ব্যাংকার এবং উদ্যোক্তা। এই জনস্তরে আরও ছিলেন লেখক, শিক্ষক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক বা বিদ্বৎসমাজ। সামন্তবাদী অভিজাততন্ত্রী এবং ধর্মতন্ত্রী সমাজ রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিরোধী যে রাজনৈতিক দার্শনিক লড়াই চলছিল, সেখানে এই শ্রেণির ভূমিকা ছিল নেতৃস্থানীয়। ইউরোপে সপ্তদশ শতক থেকেই ‘ঐশ্বরিক’ রাজশক্তি এবং অভিজাততন্ত্রের বংশানুক্রমিক আধিপত্যবিরোধী জনমত সংহত হতে থাকে।

উনিশ শতকে পুঁজিবাদের বিকাশ ও উৎপাদন ক্ষেত্রে যান্ত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পরস্পরকে শক্তি জুগিয়েছে। নগরের বিকাশ সে সময় দ্রুততর হয়। নগরকেন্দ্রিক তৎপরতা বৃদ্ধি পায়, সমাজে অনেক স্তর ও পেশার জন্ম হয়, আয়েরও বিভিন্ন মাত্রা দেখা যায়। পুরোনো সামন্ত শ্রেণির ভাঙন ঘটে এবং বুর্জোয়া শ্রেণি ক্রমে হয়ে ওঠে ‘উচ্চ শ্রেণি’ অর্থাৎ সর্বোচ্চ সম্পত্তি মালিক শ্রেণি। আদি ধারণার যে মধ্যবিত্ত, সেই বুর্জোয়া শ্রেণির বিত্তের দিক থেকে উচ্চ পর্যায়ে গমন এবং সামাজিক অবস্থানের দিক থেকে শাসকশ্রেণির ভূমিকায় আসীন হওয়ার ফলে গোটা সামাজিক বিন্যাস এক নতুন পর্বে প্রবেশ করে। এর পর থেকে মধ্যবিত্ত হিসেবে তারাই অভিহিত হতে থাকে, যাদের আরেক নাম পেটি (ক্ষুদে) বুর্জোয়া শ্রেণি। এই জনগোষ্ঠী শ্রমিক নয়, আবার মালিক হিসেবে তেমন কিছু নয়। তবে এদের জীবন-জীবিকা বুর্জোয়া জগতেই, মানসিকভাবে তারা সেই শ্রেণির ভাব ও ভাষাই ধারণ করে। সাধ থাকে সে রকমই, কিন্তু সাধ্য থাকে না। সংকট, সংশয় আর দোলাচলের উৎস সেখানেই। আবার এদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে সবার নিচে পিষ্ট মানুষেরও, যারা সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ। এদের প্রতি মধ্যবিত্ত বরাবর বিরূপ, তবে এই যোগাযোগ মধ্যবিত্তের কাউকে কাউকে নিজের বদ্ধ ঘর থেকে বেরিয়ে দুনিয়া দেখার চোখ দেয়। সেখানেই সৃষ্টি হয় নতুন মানুষ। ইউরোপের সেই পুঁজিবাদ বিশ্বের বাকি অঞ্চলগুলোতে হাজির হয় ঔপনিবেশিক শক্তি হিসেবে। তার দরকার হয় এসব অঞ্চলে নিজের প্রয়োজনমতো ভাঙচুর ও নির্মাণ। দরকার হয় প্রয়োজনমতো অতীত রক্ষণ ও নিজের আরদালি একটি ‘ভদ্রলোক’ শ্রেণি তৈরি, যারা ভক্তি, দাসত্ব ও স্মার্টনেসের অভূতপূর্ব সমন্বয় নিয়ে গড়ে উঠবে। ভারত ও বাংলায় তা-ই গড়ে উঠেছিল। তাদের উত্তরসূরিরাই পূর্বসুরির ছায়ায় বেড়ে উঠেছে। বলা দরকার, এই ঘটনাটা একরৈখিক হয়নি। এখানেও তাই গড়ে উঠেছিল কোনো কোনো ভিন্ন মানুষ।

আয় দিয়ে মধ্যবিত্ত নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে বেশকিছু সমস্যা আছে। কেননা, কোন সূত্রে আয় হচ্ছে আর কতটা নিয়মিত, কতটা নিরাপদ, কতটা সম্মানজনক; আয়ের ওপর কতজন মানুষ নির্ভরশীল, ব্যয়ের ধরন কী, শিক্ষা গ্রহণের ব্যয় কতটা, পারিবারিক পটভূমি কী, বর্তমান সামাজিক যোগাযোগ কী, সেগুলো দ্বারা একই আয়ের মধ্যেই অনেক বিভাজন তৈরি হয়। আয়ের ধরন এবং সমাজে অবস্থান চলতি বিবেচনায় মধ্যবিত্ত হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন একজন জওয়ান রিকশাচালক এবং একজন স্কুলশিক্ষক দু’জনের আয় সমান হলেও এবং তা দরিদ্র আয় হলেও রিকশাচালক যেখানে শ্রমজীবী হিসেবে চিহ্নিত, সেখানে স্কুলশিক্ষক তা নন। আয়ে অনেকের থেকে পিছিয়ে থাকলেও তাকে বিবেচনা করা হবে মধ্যবিত্ত ঘরানার একজন বলে। হয়তো বলা হবে নিম্ন-নিম্ন মধ্যবিত্ত। এর কারণ স্পষ্টতই আয় নয়।

ভারত, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা বা দেশভাগের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানের ক্ষমতার যোগ সৃষ্টি হয়। হিন্দু জমিদাররা শুধু নয়, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে দেশত্যাগ করে পূর্ব বাংলার হিন্দু মধ্যবিত্তের এক বড় অংশ। জমিদার বা জোতদারের স্থান দখল করা কিংবা শোষক-নির্যাতক হিসেবে তার ভূমিকা প্রতিস্থাপন করা মুসলমান জোতদারদের জন্য সহজ ছিল। কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের ভূমিকা এভাবে দখল দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায় না। তবুও স্থান শূন্য থাকেনি, থাকে না। প্রায় রাতারাতি, এক দশকের মধ্যে স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এক নতুন মুসলমান জনগোষ্ঠী আবির্ভূত হলো প্রায় অপ্রস্তুতভাবেই। সরকারি প্রশাসন, ওকালতিতেও খুব দ্রুত এক মুসলমান জনগোষ্ঠী পাওয়া গেল। বাঙালি মুসলিম মধ্যবিত্তের উদ্ভব ঘটল এভাবেই। সে অনুযায়ীই তৈরি হলো তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পূর্ব-পশ্চিমের সব মুসলমানের উজ্জ্বল জীবন তৈরির প্রতিশ্রুতি নিয়ে। অল্প দিনেই এই সত্য প্রকাশিত হলো যে, সব মুসলমান ভাই ভাই নয়; জাতিগত-শ্রেণিগত। আঞ্চলিক বৈষম্য ও নিপীড়ন যদি বিদ্যমান থাকে, তবে তা ধর্মীয় পরিচয় দিয়ে আড়াল করা যায় না। এই প্রকাশ বাঙালি মুসলমানের তাদের মুসলমান পরিচয়ে আর সন্তুষ্ট রাখতে পারেনি। সমাধানের পথ খুঁজতে গিয়ে নিজেদের ভূমিজ শিকড়ের দিকে নজর গেল এবং ঘটল। প্রকৃতপক্ষে বাঙালি মুসলমান কৃষিজীবী কারিগর মজুর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে শিকড় ফেলে কোথাও যাওয়া আবার ফেরত আসার ঘটনা ঘটাতে হয়নি। কারণ মাটির সঙ্গে তার সংযোগ ছিলই। ফিরে আসতে হলো যাদের, তারা প্রধানত শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মুসলমান, ভদ্র সমাজ। এই সমাজ, তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, তার বাঙালি পরিচয়কে নতুন করে, বলা যায় প্রথমবারের মতো আবিস্কার করল।

পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ব প্রান্তে রাষ্ট্রের নতুন প্রয়োজনগুলোর মধ্য দিয়ে যে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর উদ্ভব, তাদের মধ্য থেকেই ভিন্ন উপলব্ধি ক্রমে নতুন ভাষা পেতে থাকে। এই উপলব্ধির জন্মও বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে বের হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি বৈরী মনোভাব এবং সামগ্রিকভাবে বাঙালি জনগোষ্ঠীকে নিরন্তর হেয় ও প্রান্তিক করে রাখার পাকিস্তানি কেন্দ্রচেষ্টাই এই উপলব্ধির বিস্তার ঘটায়। ষাট দশকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চিন্তা ও রাজনীতির বিকাশ এই ভিত্তির ওপরেই দাঁড়ানো। এই সময়কালে বাঙালি পেশাজীবীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, আইনজীবী, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও তুলনায় বেড়েছিল অনেক। রাষ্ট্র অনুমোদিত চিন্তার বাইরে চিন্তা ও সক্রিয়তা এদের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় আসে। বৈষম্য, সুযোগ এবং সম্ভাবনার অনিশ্চয়তা, সর্বোপরি সামরিক শাসন ও বিবিধ মাত্রার নিপীড়ন জনগণের বিভিন্ন স্তরে পাল্টা প্রতিরোধ সৃষ্টি করল। এর মধ্যে সমাজতন্ত্রী চিন্তাও দানা বেঁধেছিল, সংগঠন আন্দোলন বিস্তার লাভ করেছিল উল্লেখযোগ্য মাত্রায়, যা ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে নির্ধারক ভূমিকা পালন করেছিল। তারপর আর শক্তভাবে কখনোই দাঁড়াতে পারেনি। এর কারণ অনুসন্ধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এসব দিক পর্যালোচনা করে শহুরে মধ্যবিত্তকে একটি পরিসরে ধরার চেষ্টায় সংজ্ঞা বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে তার অবস্থা বিচার করতে পারি। বৈশিষ্ট্যগুলো এ রকম : ১. এরা প্রত্যক্ষ ও সাধারণভাবে উৎপাদনযন্ত্রের মালিক নয়, যদিও এরা কিছু স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক হতে পারে। ২. সরাসরি কায়িক শ্রম এদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। এরা প্রধানত মানসিক শ্রমশক্তি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। ৩. শিক্ষা এসব পরিবারে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হয়। কেননা, এটি এদের সামাজিক অবস্থানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৪. এদের আয়সীমা সাধারণভাবে সীমিত ও নির্দিষ্ট। ৫. এসব পরিবারে সচ্ছলতা দেখা যেতে পারে, তবে প্রাচুর্য দেখা যায় না। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকট থাকলেও অনাহারে থাকার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয় না। ৬. বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য (দর্শন) ইত্যাদি চর্চা এসব পরিবারে তুলনামূলক বেশি থাকে। এরা বুর্জোয়া ভাবাদর্শ নির্মাণ ও তার বিকাশে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এদের মধ্য থেকে বুর্জোয়া ভাবাদর্শের বিরুদ্ধ ভাবাদর্শও উদ্ভূত ও বিকশিত হয়। ৭. জনমত সংগঠনে এদের মুখ্য ভূমিকা থাকে, সামজের ‘বুদ্ধিজীবী’ অংশ এদের মধ্যেই প্রধানত কেন্দ্রীভূত থাকে। ৮. এদের (একটি অংশের) প্রধান আকাঙ্ক্ষা থাকে বৃহৎ বুর্জোয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ। ৯. পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থায় মধ্যবিত্ত প্রধানত উৎপাদ প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকে না। তাদের মুখ্য ভূমিকা থাকে বিতরণ, ব্যবস্থাপনা ও ভাবাদর্শ নির্মাণে। ১০. উদ্বৃত্ত মূল্য এরা শোষণ করে না। এদের থেকে সাধারণ উদ্বৃত্ত মূল্য সৃষ্টিও হয় না। তবে উদ্বৃত্ত মূল্য থেকেই এদের জীবিকা সংগঠিত হয়।
বাংলাদেশে মধ্যবিত্তের শিকড় অনুসন্ধানে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকেই পাওয়া যায় প্রত্যক্ষভাবে। ওই শাসনের আগে এ অঞ্চলের যে জনবিন্যাস, তাতে মধ্যবিত্ত বলে স্থির কোনো জনগোষ্ঠী পাওয়া যায় না। সেই শাসনের মধ্য দিয়ে মধ্যবিত্ত গোষ্ঠী গঠনের বড় কারণ হচ্ছে সেই শাসন পুঁজিবাদকেই প্রতিনিধিত্ব করছিল। আর মধ্যবিত্ত আসলে আধুনিক পুঁজিবাদী ব্যবস্থারই একটি জনস্তর। ব্রিটিশ শাসনে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, প্রশাসনিক প্রয়োজনে শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন পেশা গঠন, প্রথমে শাসক কোম্পানি পরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিতভাবে কেরানি, সওদাগর গোষ্ঠীর আবির্ভাব, শিক্ষক, সাংবাদিক, উকিল জনগোষ্ঠীর সম্প্রসারণ ইত্যাদি একটি শহুরে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী গঠন করেছিল। বিভিন্ন ঐতিহাসিক কারণে এর মধ্যে প্রধানত ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ।
[৯ জানুয়ারি ২০২২ দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত]