উন্নয়ন ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবনমান

মানুষ ছাড়া বন বাঁচে/বন ছাড়া মানুষ বাঁচে না/মানুষ ছাড়া নদী বাঁচে/পানি ছাড়া মানুষ বাঁচে না। তাই একটি দেশের বস্তুগত উন্নয়ন কতটা মানুষের জন্য তা বুঝতে শুধু অর্থকড়ির পরিমাণ বৃদ্ধি দেখলে হবে না। তাকাতে হবে বন, নদী, পানি, মানুষসহ সর্বপ্রাণের দিকে। সন্দেহ নেই, গত চার দশকে বাংলাদেশে পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটেছে সব ক্ষেত্রে। গত দুই দশকে এর বিকাশমাত্রা দ্রুততর হয়েছে। ধনিক শ্রেণির আয়তন বেড়েছে। কয়েক হাজার কোটিপতি সৃষ্টি হয়েছে, সচ্ছল মধ্যবিত্তের একটি স্তর তৈরি হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ঘটেছে। এই বিকাশ প্রক্রিয়ায় দেশের সমাজ অর্থনীতির সব ক্ষেত্র এখন পুঁজির আওতায়, একই সঙ্গে একই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক বেশি বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে অঙ্গীভূত।

পুঁজিবাদের এই বিকাশ নিয়ে সরকারি উচ্ছ্বাস সীমাহীন। উন্নয়নে সরকার সার্থক বলে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবিসহ অর্থনীতিবিদদের মধ্যে স্তুতিগানের কমতি নেই। এই স্তুতি বন্দনায় বিশেষভাবে সত্তরের দশকের শুরুতে প্রকাশিত একটি বইয়ের কথা টানা হয়। বইটির নাম- ‘বাংলাদেশ : এ টেস্ট কেস অব ডেভেলপমেন্ট’। এর লেখক ১৯৭২-৭৪ সালে ঢাকার বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি জাস্ট ফাল্যান্ড এবং একই সময়ে ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ জে. আর. পারকিনসন। এই গ্রন্থে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ নিয়ে গভীর হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের দর্শন অনুযায়ী তারা পুঁজিবাদ বিকাশের সম্ভাবনাই বিচার করেছিলেন। তাদের বক্তব্যে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের এমনই অবস্থা যে, যদি বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়, তাহলে বিশ্বের কোথাও উন্নয়ন কোনো সমস্যা হবে না। এই হতাশাব্যঞ্জক কথার সূত্র টেনে বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সূচক তুলনা করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হয়।

কিন্তু স্বাধীনতার পর বিপুল প্রত্যাশা আর তার বিপরীতে রাষ্ট্রের যাত্রা নিয়ে সে সময়ের অন্য আরও কিছু বই আছে, যেগুলোর প্রসঙ্গ টানলে বিশ্নেষণ ভিন্ন হবে। উল্লেখযোগ্য, তৎকালীন পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান নূরুল ইসলাম এবং সদস্য রেহমান সোবহান, আনিসুর রহমানের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা বই। যদি আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্নেষণ করি, যদি মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী জনগণের প্রত্যাশা বিবেচনা করি, যদি স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রে যে তিনটি লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল সেই সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা-বর্তমান উন্নয়ন ধারায় কতটা অর্জিত হয়েছে তার বিচার করি, তাহলে উচ্ছ্বাসের বদলে উন্নয়নের গতিধারা নিয়েই প্রশ্ন আসবে। যদি ধনিক শ্রেণির আয়তন ও জিডিপি বৃদ্ধির পাশাপাশি কত নদী বিনাশ হলো, কত বন উজাড় হলো, বাতাস কত দূষিত হলো, মানুষের জীবন কত বিপন্ন হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বঞ্চনা ও বৈষম্য কতটা বাড়ল, শ্রেণি লিঙ্গীয়-ধর্মীয়-জাতিগত বৈষম্য নিপীড়ন কী দাঁড়াল তার হিসাব করি, তাহলে উন্নয়নের সংজ্ঞা পাল্টাতে হবে।

সরকারি হিসাবে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বার্ষিক ৭ শতাংশের বেশি এবং মাথাপিছু আয় এখন বার্ষিক ১৬শ’ মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। গত ১০ বছরের গড় হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চহারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঘটেছে নাওরু, ইথিওপিয়া, তুর্কমেনিস্তান, কাতার, চীন ও উজবেকিস্তানে। এক দশকের গড় হিসাবে দ্রুত প্রবৃদ্ধির তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২০। তবে ২০১৭ সালের প্রবৃদ্ধি হার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি, সমান ও কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি হার অর্জনকারী অন্য দেশগুলো হলো : ইথিওপিয়া, মিয়ানমার, ভারত, কম্বোডিয়া, তানজানিয়া, লাওস, ফিলিপাইন, আইভরি কোস্ট ও সেনেগাল। ভারতে মাথাপিছু আয় ও জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার গত এক দশক ধরে বেশ ভালো দেখালেও তার পদ্ধতিগত বিষয় নিয়ে সেখানকার অর্থনীতিবিদরা অনেক প্রশ্ন তুলেছেন, বিতর্ক হচ্ছে। ডাটার গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের তথ্য-উপাত্ত পরিসংখ্যান হিসাবনিকাশ প্রবৃদ্ধির গতি-প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ অনেক বেশি থাকলেও বাংলাদেশে এ নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা নেই, কোনো বিতর্ক নেই। সরকারি ভাষ্যের সঙ্গে মিলে না এ রকম যুক্তি, তথ্য, প্রশ্ন আর বিতর্ক সরকার পছন্দ করে না বলে প্রায় সব অর্থনীতিবিদ, থিঙ্কট্যাঙ্ক, মিডিয়াও বিনা প্রশ্নে সব গ্রহণ করতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। যা হোক, কতটা ও কীভাবে তা নিয়ে অনেক প্রশ্নের অবকাশ থাকলেও জাতীয় আয় নিশ্চিতভাবেই বেড়েছে।

কোনো দেশের অর্থনীতিকে জিডিপি-জিএনপি এবং মাথাপিছু আয় দিয়ে পরিমাপ করায় বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ প্রধান পথনির্দেশকের ভূমিকা পালন করে। এই পদ্ধতি সারা দুনিয়ার করপোরেট শাসকদের প্রিয়। কেননা এতে অনেক সত্য আড়াল করা যায়। বিশ্বব্যাংকই সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশকে মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করে থাকে। এগুলো হলো : ১. নিম্ন আয়ভুক্ত দেশ (মাথাপিছু আয় এক হাজার ২৫ মার্কিন ডলার পর্যন্ত); ২. নিম্নমধ্য আয়ভুক্ত দেশ (এক হাজার ২৬ মার্কিন ডলার থেকে চার হাজার ৩৫ ডলার); ৩. উচ্চ মধ্যম আয় (চার হাজার ৩৬ মার্কিন ডলার থেকে ১২ হাজার ৪৭৫ ডলার); ৪. উচ্চ আয়ভুক্ত দেশ (১২ হাজার ৪৭৬ মার্কিন ডলার থেকে বেশি)।

মাথাপিছু আয়সহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে জাতিসংঘেরও বিভাজন আছে। তাদের মাপকাঠি অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশগুলোর গ্রুপের পরের ধাপ উন্নয়নশীল দেশ; এই পর্বের দেশগুলোকে কম উন্নত বা অনুন্নত দেশও বলা হয়। তাদের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী বিশ্বে ৪৭টি দেশ ও দ্বীপপুঞ্জ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে ৩৩টি আফ্রিকায়। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে আছে ১৩টি, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ানের মধ্যে একমাত্র হাইতি স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে চিহ্নিত। এশিয়ার মধ্যে তালিকাভুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ছিল আফগানিস্তান, ভুটান, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার ও নেপাল। জাতিসংঘের বিবেচনায় সবচেয়ে দরিদ্র ও দুর্বল দেশগুলো নিয়ে স্বল্পোন্নত দেশের গ্রুপ গঠন করা হয় ১৯৭১ সালে। বাংলাদেশ এই তালিকাভুক্ত হয় ১৯৭৪-৭৫ সালে।

৪৭ বছর আগে এই গ্রুপ গঠন করার পরে এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি দেশ স্বল্পোন্নত তালিকা থেকে পুরোপুরি বের হতে পেরেছে। এগুলো হলো- বতসোয়ানা, কেপ ভার্দে, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, মালদ্বীপ ও সামোয়া। জাতিসংঘের কমিটি বলেছে, আগামী তিন বছরে আরও দুটি দেশ ভানুয়াতু ও অ্যাঙ্গোলা এই উত্তরণের তালিকায় আছে। নেপাল ও তিমুরও শর্ত পূরণ করেছে। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের বিষয়টি ২০২১ সালে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী সভায় বিবেচনার জন্য রাখা হয়েছে। গত বছরের ১৫ মার্চ জাতিসংঘের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ, লাওস ও মিয়ানমার প্রথমবারের মতো স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য শর্ত পূরণ হয়েছে। আরও ক’বছর দ্বিতীয় দফায় শর্ত পূরণ করতে পারলে চূড়ান্তভাবে এলডিসি তালিকা থেকে এ দেশগুলো বের হতে পারবে।

একটি দেশে জিডিপি অনেক বেশি হলেও যে টেকসই উন্নয়ন দুর্বল হতে পারে, মাথাপিছু আয় বেশি হলেও যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্ন হতে পারে- এ বিষয় স্পষ্ট করে অনেক গবেষণামূলক কাজ হয়েছে নানা দেশে। অমর্ত্য সেন এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নতুন প্রস্তাবনা হাজির করেছেন। মাহবুবুল হকের সঙ্গে ‘মানব উন্নয়ন সূচক’ ধারণা প্রবর্তন করেছেন, যার ভিত্তিতে জাতিসংঘ এখন নিয়মিত রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে। জোসেফ স্টিগলিজসহ মূলধারার বহু অর্থনীতিবিদ অর্থনীতি পরিমাপের পদ্ধতি হিসেবে জিডিপি ব্যবহারের সার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ভারতের ভেতরেই রাজ্য থেকে রাজ্যে তাৎপর্যপূর্ণ তফাত পাওয়া যায়। আফ্রিকার বহু দেশে মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি, মধ্যম আয়ের বিবরণে তারা বাংলাদেশ থেকে অনেক আগে থেকেই এগিয়ে; কিন্তু মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্ন। মিয়ানমারে মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের প্রায় সমান, মানে তারাও নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ। মিয়ানমারও একই সঙ্গে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে যাওয়ার শর্ত পূরণ করেছে। নাইজেরিয়ার মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের দ্বিগুণেরও বেশি। কী তাদের জীবনযাত্রার মান বাংলাদেশের চাইতে দ্বিগুণ হলো, এটা বলা যাবে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বরং আরও খারাপ। সে জন্য মানব উন্নয়ন সূচকে নাইজেরিয়া বাংলাদেশেরও পেছনে।

প্রকৃতপক্ষে জিডিপি দিয়ে একটি দেশের আর্থিক লেনদেন বা বাণিজ্যিক উৎপাদন, বিতরণ, পরিসেবার বিস্তার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কারণ যে কোনো লেনদেন ও বাণিজ্যিক তৎপরতা বৃদ্ধিতেই জিডিপি বাড়ে। কিন্তু এর জন্য সামাজিক ও পরিবেশগত কোনো ক্ষতি হলে তা হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। সে কারণে এর মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বোঝা যায় না, অর্থনীতির গুণগত অগ্রগতিও বোঝা যায় না। যেমন চোরাই অর্থনীতির তৎপরতাতেও জিডিপি বাড়ে; কিন্তু সমাজের বড় একটা অংশের জীবন-জীবিকা তাতে বিপদগ্রস্ত হয়। নদী-নালা, খাল-বিল, বন দখল ও ধ্বংসের মাধ্যমেও জিডিপি বাড়তে পারে; কিন্তু তা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে না, বরং অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। এসব তৎপরতায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রকৃত আয় বৃদ্ধি পায় না বরং জীবনমান বিপর্যস্ত হয়। দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও তার কারণে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিও বড় দেখায়, জিডিপির অঙ্কও বাড়ে। একই সময়ে শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ কমে এসেছে তার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে। কিন্তু এই ব্যয় বৃদ্ধি আবার জিডিপি বাড়ায়। অনিয়ন্ত্রিতভাবে গৃহীত বৃহৎ প্রকল্পে ব্যয়ের লাগামহীন বৃদ্ধি, আর্থিক খাত থেকে অভাবনীয় মাত্রায় লুণ্ঠন ও পাচারও জিডিপি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।

দ্বিতীয়ত, যে সমাজে বৈষম্য বেশি সেখানে মাথাপিছু আয়ের হিসাব বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়। একটি পরিবার যদি দশ লাখ টাকা আয় করে, পাশাপাশি অন্য একটি পরিবার যদি দশ হাজার টাকা আয় করে, তাহলে উভয় পরিবারের গড় আয় হবে পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। এতে কি দুই পরিবারের প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায়? বর্তমান মাথাপিছু আয় হিসেবে আমাদের দেশে চার সদস্যের পরিবারের বার্ষিক গড় আয় হয় প্রায় ৭ হাজার মার্কিন ডলার অর্থাৎ মাসে প্রায় ৫৭ হাজার টাকা। তার মানে বাংলাদেশের সব নাগরিক শিশু-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবারই মাথাপিছু আয় মাসে এখন প্রায় ১৪ হাজার টাকা। অথচ সরকারি পরিসংখ্যান বলে, বাংলাদেশের শতকরা ৮০ জন মানুষের মাসিক আয় এর থেকে অনেক নিচে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় যত, শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ পায় এর মাত্র ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে শুধু আর্থিক খাতই নয়, সর্বজনের (পাবলিক) সব সম্পদই অসীম ক্ষুধায় কাতর ধনিক শ্রেণির লক্ষ্যবস্তু।
(১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে দৈনিক সমকালে প্রকাশিত)