সুন্দরবন বিনাশী প্রকল্প আর উন্নয়ন বিপরীত

downloadচটকদার বিজ্ঞাপন দিলেই যেমন একটি পণ্যের মান ভালো বোঝায় না, তেমনি বিজ্ঞাপনের ঢঙে এক অসত্য কথা বারবার বললেই তা সত্য হয়ে যায় না। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কথাবার্তা তেমনই। বিশেষজ্ঞ মত ও জনমত পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে একটি সর্বনাশা প্রকল্পকে জায়েজ করার চেষ্টা তাই সরকারকে আরো বেশি হেয় করে তুলছে। সুন্দরবন রক্ষার জন্য যারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছেন, তাদের ওপর উপর্যুপরি পুলিশি হামলা, হয়রানি, তাদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা ইত্যাদিতে এটাই প্রকাশিত হয় যে, সরকার সুন্দরবনধ্বংসী প্রকল্পের বিরুদ্ধে জনমতের ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত। তাই যুক্তির কথা শুনতে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও তাদের ভয়। অপরাধী মন আতঙ্কে দিশেহারা হলেই কেবল এ রকম আচরণ সম্ভব। 

২১ অক্টোবর ভারতের এনটিপিসি ও বাংলাদেশের পিডিবির যৌথ উদ্যোগে গঠিত ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি’র পক্ষ থেকে সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনের প্রতি কটাক্ষ ও প্রকল্প সম্পর্কে ভুল ও বিকৃত তথ্যে ভরা এক বিবৃতি বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কতিপয় ব্যক্তি ও সংগঠন’ ‘দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে’ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কোম্পানির বক্তব্য হচ্ছে, ‘এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও এলাকার মানুষের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।’ তাদের ভাষায়, যে ‘কতিপয় ব্যক্তি ও সংগঠন’ এ প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন, তার মধ্যে তাহলে কারা আছেন? এ আন্দোলনে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত্বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং কমিটিভুক্ত বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি ছাড়াও আছেন দেশী বিদেশী স্বাধীন বিশেষজ্ঞ, লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক, পরিবেশবাদীসহ দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। শুধু দেশে নয়, সুন্দরবনধ্বংসী সরকারের ভূমিকা আন্তর্জাতিকভাবেও প্রশ্নবিদ্ধ, সেজন্য এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে দেশের বাইরেও প্রতিবাদ বাড়ছে। এর বিরুদ্ধে আছে জাতিসংঘের ইউনেস্কো ও রামসার, আছে দক্ষিণ এশিয়া মানবাধিকার ফোরাম, নরওয়ের অর্থসংস্থানকারী প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অব এথিক্স। ইউনেস্কো এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে যে, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ যাবে। ইউনেস্কো ও রামসার থেকে একাধিকবার সুন্দরবন ঘিরে একাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন মুনাফামুখী তত্পরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। নরওয়ে সুন্দরবন ধ্বংসের এ প্রকল্পে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে ভারতের এনটিপিসিতে অর্থ জোগান বন্ধ করে দিয়েছে। কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থ জোগান না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এসবের বাইরেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এর নিন্দা জানাচ্ছে। আর দেশের ভেতরে শত বাধা সত্ত্বেও ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়ছেই। বস্তুত কোম্পানি ও কিছু দেশী-বিদেশী সুবিধাভোগী এবং কাণ্ডজ্ঞানলুপ্ত কিছু ব্যক্তি ছাড়া সবাই এর বিরুদ্ধে। এমনকি সরকারের পরিবেশ অধিদফতর ও বন বিভাগ থেকেও এ প্রকল্প নিয়ে শুরুতেই আপত্তি করা হয়েছিল।

কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানি বাদে সবার এ বিরোধিতা তৈরি হয়েছে সুন্দরবনের ওপর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যে ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে, সে সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণা থেকে নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞরা বিস্তারিত তথ্য ও যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন যে, প্রাকৃতিক রক্ষাবর্ম হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতিকে যে সুন্দরবন রক্ষা করে এবং অসাধারণ জীববৈচিত্র্যের আধার হিসেবে যা প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে, সেই সুন্দরবনকে ধ্বংস করবে এ প্রকল্প। বিভিন্ন প্রকাশনা, গবেষণার মধ্য দিয়ে বিশেষজ্ঞরা কেন এ কেন্দ্র বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থবিরোধী, সুন্দরবন ও মানববিধ্বংসী তা বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ তথ্য-যুক্তিসহ তুলে ধরেছেন।

গত ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার ঢাকায় বলেছেন, ‘সব আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে এ প্রকল্প করা হচ্ছে।’ প্রকৃতপক্ষে আন্তর্জাতিক পরিবেশ আইন তো বটেই, ভারতীয় আইনেও এ প্রকল্প গ্রহণযোগ্য নয়। ভারতের আইন ভঙ্গ করেই ভারতীয় কোম্পানি এ ধ্বংসাত্মক কাজে নিয়োজিত হয়েছে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটায় বলে এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতির ১৫ থেকে ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে আর বৃহত্ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয় না। ভারতীয় কোম্পানি বাংলাদেশে সুন্দরবনের ৯ থেকে ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে। বাফার জোন বিবেচনা করলে এ দূরত্ব চার কিলোমিটার। অথচ ভারতেরই ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্ট ১৯৭২’ অনুযায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে এবং ভারতের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় প্রণীত পরিবেশ সমীক্ষা বা ইআইএ গাইড লাইন ম্যানুয়াল ২০১০ অনুযায়ী, কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বাঘ/হাতি সংরক্ষণ অঞ্চল, জীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল, জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য কিংবা অন্য কোনো সংরক্ষিত বনাঞ্চল থাকা অনুমোদন করা হয় না। ভারতীয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ‘তাপ বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত গাইড লাইন, ১৯৮৭’ অনুসারেও কোনো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা যায় না।

তার পরও এ ধ্বংসাত্মক প্রকল্পের সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বলা হচ্ছে, এ প্রকল্পে সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে, সেজন্য সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। এ প্রযুক্তিতে কিছু ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ক্ষতি কম হয়, তাতে সুন্দরবন ধ্বংসের সামগ্রিক ক্ষতি কীভাবে কমবে? তাছাড়া এটি যদি সুন্দরবন ধ্বংস ঠেকানোর মতো এত নিশ্চিত প্রযুক্তি হয়, তাহলে ভারতীয় কোম্পানি কেন ভারতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সব ক্ষতি দূরীভূত করে না?

প্রথম থেকেই এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারের জোরজবরদস্তি, অস্বচ্ছতা ও অব্যাহত অনিয়মের মধ্য দিয়েই এর ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষ ধারণা পেয়েছে। কোম্পানির উক্ত বিবৃতিতে বিজ্ঞাপনের ভাষায় অসম্ভব দাবি করে বলা হয়েছে, এ থেকে ‘কোনো কালো ধোঁয়া নির্গত হবে না’, ‘কোনো দূষিত পানি বা গরম পানি নদীতে ফেলা হবে না’, ‘বায়ুদূষণের কোনো আশঙ্কা নেই’। অথচ প্রকল্পের কারণে এসব অভিঘাত এত অনিবার্য যে, সরকারের ‘পরিবেশ অভিঘাত সমীক্ষা’য়ও এসব সমস্যার কথা স্বীকার করা হয়েছে। কোম্পানির বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘এই বিদ্যুত্ কেন্দ্র তৈরি হলে সংলগ্ন এলাকায় কাজের সুযোগ তৈরি হবে।’ এটা আসলে উল্টো কথা। কেননা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মসংস্থান হয় খুবই কম। আর এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নদীর পানি ও বনের ওপর যে ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে তাতে লাখ লাখ মানুষ, যারা মত্স্য ও বনসম্পদের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে, তাদের উদ্বাস্তু হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। কোম্পানির এ বিবৃতিতে সুন্দরবন যে এখন সংকুচিত হয়ে আসছে, তার জন্য দায়ী করা হয়েছে কৃষক ও জেলেদের। বিশাল সংখ্যক দরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে এটি এক কুত্সা। কারণ সুন্দরবনের বিপন্নতা ও সংকোচন তৈরি হয়েছে বন ও ভূমিদস্যুদের জন্য, উপরন্তু বন বিনাশী বিভিন্ন তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে, দরিদ্র কৃষক ও জেলেদের জন্য নয়। এ প্রকল্প তার সঙ্গে যোগ হয়ে পুরো বন ধ্বংসের উপাদান তৈরি করবে।

ক’দিন আগেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরিবেশ নষ্ট করে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না। অথচ বিশ্বের ইতিহাসে একটি ভয়ঙ্কর পরিবেশধ্বংসী প্রকল্প রক্ষার জন্য সরকারকে বরাবরই অসহিষ্ণু দেখা যাচ্ছে। আমরা বহুবার সরকারের এ রকম আক্রমণাত্মক আচরণের মুখে পড়েছি। কেন? এতে যদি প্রকৃতই উন্নয়ন হয় তাহলে প্রকাশ্যে বিতর্কে আসতে বাধা কোথায়? জনমতের প্রতি এত ভয় কেন? সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য আমরা সরকারের কাছে বারবার দাবি জানিয়েছি সুন্দরবন নীতিমালা প্রণয়ন করে ক্ষতিকর সব পরিবহন চলাচল ও প্রকল্প বন্ধ করতে। কিন্তু সরকার সুন্দরবনের গুরুত্ব সম্পর্কে নির্লিপ্ত থেকে তার সুরক্ষার পরিবর্তে শুধু বিশাল কয়লাভিত্তিক একাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজই করছে না, নানা ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে ভূমিদস্যুদের জমি দখলের সুযোগ করে দিচ্ছে। কিছুদিন আগে মন্ত্রিসভা রামপালে আরেকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।

কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীও অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সুন্দরবন নিয়ে আন্দোলনকারীরা কেবলমাত্র ভারতের কারণেই এই বিদ্যুত্ প্রকল্পের বিরোধিতা করছে।’ খুবই ভুল কথা। আমরা বারবার বলেছি, যেসব প্রকল্প সুন্দরবনের জন্য ধ্বংসকারী তা ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, এমনকি বাংলাদেশের কোনো কোম্পানিরও হয়, আমরা তার প্রবল বিরোধী। তিনি আরো বলেছেন, ‘আন্দোলনকারীরা মানুষকে রক্ষা না করে কেবল পশু-পাখি রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছে।’ আসলে সুন্দরবন শুধু যে অমূল্য অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ তা নয়, এটি রক্ষার সঙ্গে কোটি কোটি মানুষের জীবনের নিরাপত্তাও জড়িত। সুন্দরবনধ্বংসী এসব তত্পরতা চলতে থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগে সম্পূর্ণ অরক্ষিত হয়ে পড়বে। কেননা এ বন সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে খুবই শক্তিশালী প্রাকৃতিক সুরক্ষা বাঁধ হিসেবে কাজ করে। সুন্দরবন না থাকলে আসলে বাংলাদেশই অরক্ষিত হয়ে পড়বে।

আমরা সরকারকে অনেক বিকল্প প্রস্তাব দেয়া সত্ত্বেও তারা এতে কর্ণপাত করছে না। এ প্রশ্নটি অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন যে, এ প্রকল্প নিয়ে সরকারের এত জেদ কেন? কেন বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও বাংলাদেশে প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও ভারত এ প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হতে চায়? শোনা যাচ্ছে, ভারতের অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে এ প্রকল্পের কাছেই, আর এলাকাটি ভারতের জন্য কৌশলগতভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশকে অরক্ষিত এবং বিপর্যস্ত করে, নিজেদের কলঙ্কিত করে হলেও সরকার কি সে কারণেই এ প্রকল্প নিয়ে এত মরিয়া?

প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাতিসংঘের পরিবেশ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ’ পেয়েছেন। এক হাতে এ পুরস্কার আর অন্য হাতে বিশ্ব ঐতিহ্য ও বাংলাদেশের অতুলনীয় সম্পদ সুন্দরবনের মৃত্যু পরোয়ানা, এটা হতে পারে না। কোম্পানির বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে যে, ‘সম্প্রতি শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ ঘোষিত হযেছেন। সুতরাং তার পক্ষে প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করার প্রশ্নই ওঠে না।’ আমরাও তা-ই বলতে চাই। এ পুরস্কারের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায় বেড়ে গেছে অনেক। সেজন্য আমরা আশা করি, সুন্দরবনধ্বংসী প্রকল্প বাতিল করে এ পুরস্কারের প্রতি তিনি ও তার সরকার সুবিচার করবেন এবং পরিবেশবান্ধব হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করবেন। নয়তো তিনি ও তারা ভয়াবহ পরিবেশধ্বংসকারী হিসেবেই নিজেদের ইতিহাসে ঠাঁই দেবেন।

[28 অক্টোবর ২০১৫ তারিখে বণিকবার্তায় প্রকাশিত]