আলোকিত বাংলাদেশ : চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য হার নিয়ে এক ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বলেছেন, প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের কাছাকাছি হবে। আসলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কত হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
আনু মুহাম্মদ : জিডিপির হিসাবটা নির্ভর করে একটি দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির মধ্যে উৎপাদন ও কেনাবেচা কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার ওপর। জিডিপির সামগ্রিক তথ্যের একমাত্র উৎস হচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। পরিসংখ্যান ব্যুরো যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তাহলে তারাই এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য প্রক্ষেপণ করতে পারে। সরকারের কোনো মন্ত্রী বা অন্য কেউ এ ব্যাপারে সঠিক প্রক্ষেপণ করতে পারেন না। এমনকি বিশ্বব্যাংকও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য ব্যতীত এ ব্যাপারে সঠিক প্রক্ষেপণ করতে পারে না। আমাদের এখানে সমস্যা দুইটি। প্রথমত, অর্থনীতির সব সেক্টর জিডিপির আওতায় আনা হয়নি। যারা বাইরে কাজ করছেন তারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। কিন্তু সেগুলো জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না। কারণ তারা দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদন করছেন না। তবে তাদের উপার্জনটা জিএনপিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। জিডিপি এবং জিএনপির মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। আবার দেশের মধ্যে বিদেশি কোম্পানি আছে। যেমন- মোবাইল কোম্পানি। এরা প্রচুর অর্থ বিদেশে পাঠাচ্ছে। তেল কোম্পানি টাকা বাইরে পাঠাচ্ছে। দেশে আইনি-বেআইনিভাবে বিদেশি অনেক নাগরিক কাজ করছে। তারা বাইরে টাকা পাঠাচ্ছে। এসব তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ এবং যথাযথভাবে প্রক্রিয়াকরণের দক্ষ প্রতিষ্ঠান ও লোকবল এখনও বাংলাদেশে গড়ে উঠেনি। আবার অনেক শ্রম আছে, যা অদৃশ্য; হিসাবের মধ্যে নেই। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারী শ্রমিকের মজুরি বা উৎপাদনশীলতা জিডিপির হিসাবে আসে না। এগুলো জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হলে জিডিপির আকার অনেক বৃদ্ধি পেত। ঘরে-বাইরে বিনা পারিশ্রমিকে অনেকে শ্রম দেয়। এদের হিসাব জিডিপিতে আসে না। এছাড়া রয়েছে চোরাই টাকার বিষয়টি। চোরাই টাকা বা কালোটাকার তৎপরতা অর্থনীতিতে আছে; কিন্তু সেগুলো জিডিপির হিসাবে আসে না। জিডিপির হিসাব নির্ধারণ বা প্রক্ষেপণ করার ক্ষেত্রে আমি দুইটি সমস্যার কথা উল্লেখ করতে চাই। একটি হচ্ছে, যে তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য? এ বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নটি প্রতিবারই দেখা দেয়। সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তথ্য ম্যানিপুলেট করে বলে প্রায়ই অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এ অভিযোগের প্রমাণও পাওয়া যায়। এছাড়া তথ্য যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে আহরণ করা হয় না। এসব কারণেই প্রতি বছরই জিডিপি হিসাব বা প্রক্ষেপণ করার সময় একধরনের অস্পষ্টতা লক্ষ্য করা যায় এবং এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আমাদের যদি বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকত এবং সেই তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবহার করা হতো তাহলে এ ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। গ্রোথ যদি জবলেস বা অত্যধিক মাত্রায় আন্ডারগ্রাউন্ড ইকোনমি নির্ভর হয় অথবা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ হয় তাহলে সেটা সাময়িকভাবে সুখকর মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে কখনোই ভালো বলে প্রতীয়মান হতে পারে না।
প্রশ্ন : সম্প্রতি এক তথ্যে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে মানুষের ভোগব্যয় সাংঘাতিকভাবে কমে গেছে। এর ভবিষ্যৎ প্রভাব কেমন হতে পারে বলে মনে করেন?
উত্তর : কী ধরনের ভোগব্যয়ের ওপর প্রভাব পড়েছে সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের নানা ধরনের ভোগব্যয় প্রবণতা থাকে। সাধারণ মানুষের ভোগব্যয় যদি কমে যায় তাহলে সেটা অবশ্যই যুক্তিযুক্ত। মানুষের প্রকৃত আয় যদি কমে যায় অথবা একসময় অতিরিক্ত পরিশ্রম করে আয় বৃদ্ধি করে সেটা তো স্থিতিশীল হয় না। কাজেই মানুষের প্রকৃত আয় যদি না বাড়ে অথবা মানুষের অতিরিক্ত পরিশ্রমের সামর্থ্য যদি হ্রাস পায় তাহলে তার ভোগব্যয় প্রবণতা কমে যেতে পারে। ভোগব্যয় কমে যাওয়ার কারণে মানুষের প্রকৃত আয় বাড়ানো এবং সঠিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য একধরনের তাগিদ সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন : ২৮ এপ্রিল ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে নির্বাচনে ‘লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চলছে তাকে কি লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড বলা যাবে?
উত্তর : সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অনেক দিক আছে। যে ভোটার নির্বাচনে ভোট দেবেন সব প্রার্থী সম্পর্কে যদি তার সুস্পষ্ট ধারণা না থাকে, প্রার্থীদের যোগ্যতা বিচার করার সক্ষমতা তার তৈরি না হয় এবং ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো সঠিক প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ না থাকে অর্থাৎ সমান সুযোগ নিশ্চিত করা না যায় তাহলে সেটা প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটারদের জন্যও বৈষম্য তৈরি করে। আমাদের দেশে দেখা যায়, বড় দল সমর্থিত প্রার্থীরা আচরণবিধিতে যে অর্থ ব্যয়ের কথা লেখা আছে তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ নির্বাচনে ব্যয় করেন। নির্বাচনে চোরাই বা কালোটাকার প্রভাব বিস্তার করে থাকেন। অনেক প্রার্থীই অর্থের বিনিময়ে তার পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাজার হাজার লোক নিয়োগ দিচ্ছেন। মিডিয়ার ভালো কাভারেজ পাওয়ার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করছেন। এ অবস্থায় একজন সৎ এবং যোগ্য প্রার্থী, যার আর্থিক সামর্থ্য কম তিনি তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। এ অবস্থায় ভোটাররা তার জন্য সৎ এবং যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন না। আর একটি বিষয় আমরা লক্ষ্য করছি, নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছেন তারা ভোটারদের উদ্দেশে অনেক ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে সিটি করপোরেশনের মেয়রের ক্ষমতা খুবই সীমিত। বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা খুবই কেন্দ্রীভূত। এখানে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিকভাবে গড়ে উঠতে দেয়া হয়নি। এমনকি সিটি করপোরেশনও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি।
প্রশ্ন : বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তা আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন। এটাকে কি বিচারহীনতার পরিণতি বলে মনে করেন?
উত্তর : আমাদের দেশে নারীর ওপর যৌন সহিংসতার একধরনের সাধারণ সংস্কৃতি আছে। আমরা ঘরেও এ ধরনের প্রবণতা লক্ষ্য করি। আবার বাইরে, বিশেষ করে পরিবহন বা পাবলিক প্লেসে এটা প্রত্যক্ষ করি। কর্মক্ষেত্রে নারীর উপস্থিতি যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততই এটা পরিষ্কার হয়ে উঠছে যে, সমাজে পুরুষতান্ত্রিক সহিংসতার প্রবণতা বিদ্যমান আছে। এর সঙ্গে যখন রাজনৈতিক বা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা যোগ হয় তখন বিষয়টি আরও ভয়াবহ রূপ লাভ করে। বাংলা নববর্ষের দিনে এরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ হচ্ছে একমাত্র জাতীয় উৎসব, যেখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করে। এমনকি বিদেশিরাও এ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। নারী-পুরুষ ও শিশুরাও এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। বাংলা নববর্ষ প্রকৃতপক্ষেই জাতীয় উৎসব। এ উৎসবে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে। ঈদ বা পূজার মতো খুব দামি পোশাক পরিধান করতে হয় না। আনন্দ উৎসবের এ বিশালত্ব তাকে ভয়ঙ্করভাবে আঘাত করেছে এবারের ঘটনাটি। অতীতেও এ ধরনের নোংরা ঘটনা ঘটেছে। তবে একটি বড় পার্থক্য হচ্ছে, এবার প্রতিরোধ হয়েছে। প্রতিবাদ হয়েছে। এখনও দেশের বিভিন্ন স্থানে এর পতিবাদে সভা-সমাবেশ হচ্ছে। আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রেও আমরা কিছু কিছু ক্লু পাচ্ছি। দেখা যাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন একদম নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথম থেকেই এ ঘটনাকে অস্বীকার করার চেষ্টা করে আসছে। এ থেকে ধারণা করা যায়, অপরাধীরা এমন অপরাধী যাদের তারা ধরতে চান না। বরং তাদের রক্ষা করতে চায়। এটাই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের কিছু লোক যৌন সন্ত্রাসীদের সহযোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কিন্তু তারা যেটা করতে চাইছে তা তারা করতে পারবে না। কারণ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তৈরি হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে জনমত। বিভিন্ন সেক্টরের নারী-পুরুষ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা প্রতিরোধ করার সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে মেয়েদের এমন অনুষ্ঠানে আরও বেশি বেশি করে অংশগ্রহণ করতে হবে। উৎসব বলি আর যাই বলি না কেন সব স্থানে নারীর অংশগ্রহণ যদি আরও বৃদ্ধি পায় তাহলে আস্তে আস্তে এসব ঘটনা কমে আসবে। নিজেকে রক্ষা করার মতো শক্তি অর্জন করতে হবে নারীকে। মেয়েরা এ ধরনের বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এগিয়ে চলেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রতিরোধের একধরনের সংস্কৃতি গড়ে উঠছে। এবারের ঘটনা মেয়েদের আরও বেশি সচেতন করবে। আগামীতে প্রশাসন ইচ্ছে না থাকলেও নারীদের সম্মিলিত চাপের মুখে অপরাধীদের শাস্তি দিতে বাধ্য হবে।
প্রশ্ন : আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
উত্তর : কালোটাকা সাদা করা নিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রতি বছরই উলটাপালটা কথা বলে থাকেন। একবার বলেন, বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হবে না। আবার বলেন, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হবে। এসব কথায় গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই। কালোটাকা বা চোরাই টাকার মালিকরা অত্যন্ত শক্তিশালী। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হোক আর নাই হোক এতে চোরাই টাকার মালিকদের শক্তি বিন্দুমাত্র কমে না। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হোক বা না হোক এতে তাদের কিছু আসে যায় না। কোনো ধরনের জবাবদিহিতা না থাকার ফলে অর্থমন্ত্রী একই সপ্তাহে নানা ধরনের স্ববিরোধী কথাবার্তা বলে থাকেন। কাজেই তার কথায় গুরুত্ব দিয়ে কোনো ধরনের বিশ্লেষণ করাই মুশকিল। কিন্তু আমরা যেটা জানি, কালোটাকা বা চোরাই টাকার মালিকরাই দেশ চালাচ্ছেন। তারাই নীতিনির্ধারণ করছেন। তাদের স্বার্থে যা করা দরকার তারা তাই করছেন।
প্রশ্ন : কিছুদিন আগে ৫০০ কোটি টাকা ও তদূর্ধ্ব অঙ্কের বৃহৎ খেলাপি ঋণ হিসাব পুনর্গঠনের নীতিমালা ঘোষণা করা হয়েছে। এটা ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য কতটা মঙ্গলজনক হবে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর : এ নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ঋণখেলাপি শিল্পগোষ্ঠীর সুনির্দিষ্ট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। তারা আবেদন করেছে কারণ তারা ঋণ পরিশোধ করবে না। ঋণ পরিশোধ না করা সত্ত্বেও তাদের বারবার নানা ধরনের সুবিধা প্রদান করা হবে। যে ঋণ হিসাব পুনর্গঠন করা হচ্ছে তা তারা আগামীতে আর ফেরত দেবে না। এরপর তারা রাইট-অফ সুবিধা নেবে। একসময় পুরো টাকাটা গায়েব করে দেবে। এছাড়া ঋণ হিসাব পুনর্গঠন করাকালীন এদের ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না। ফলে তারা নতুন করে ঋণ গ্রহণের সুযোগ পাবে। একসময় পুরো ব্যাংকিং সেক্টর তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে। এটা যে কত বড় অবিচার তা বিশ্লেষণ করার অপেক্ষা রাখে না। যিনি এক কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছেন তার শাস্তি হবে। কিন্তু যিনি ৫০০ কোটি টাকা বা তারও বেশি ঋণখেলাপি তার কোনো শাস্তি হবে না। এমনকি যারা ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করে তাদেরও শাস্তি হয়।
(২৬ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ-এ প্রকাশিত, সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এ খালেক)