জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সর্বজনকথার সম্পাদক। বাংলাদেশ তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এই অর্থনীতিবিদ। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে।
প্রথম আলো: সরকার বলছে, এটি জীবন ও জীবিকা রক্ষার বাজেট। আপনি কী মনে করেন?
আনু মুহাম্মদ: জীবন রক্ষার জন্য দরকার অসুস্থতার কারণ কমানো, অসুস্থ হলে চিকিৎসার সুলভ মানসম্পন্ন ব্যবস্থা আর জীবিকার জন্য দরকার নিরাপদ কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ব্যবস্থা। কিন্তু বিদ্যমান উন্নয়ন ধারায় যেভাবে উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়লা–পারমাণবিক প্রকল্প হচ্ছে, উন্মুক্ত স্থান-বন-নদী-কৃষিজমি বিপর্যস্ত করে প্রকল্প হচ্ছে, সেগুলো একেকটি অসুখ তৈরির কারখানা। দেশের মানুষের অসুস্থতা বাড়ানোর প্রকল্প এভাবে জোরদার থাকলেও স্বাস্থ্যসেবা খাত একেবারেই প্রান্তিক অবস্থানে। বরাদ্দ যেখানে জিডিপির ৬ শতাংশ হওয়ার কথা, তা এই করোনাকালেও ১ শতাংশের নিচে। তার ওপর দুর্নীতি ব্যাপক। আর জীবিকা? এক কলমের খোঁচায় নবায়নের বদলে পাটকল, চিনিকল বন্ধ করে লক্ষাধিক মানুষকে নতুন বেকার বানানো হয়েছে। যাদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, সেই তৈরি পোশাক খাতে কাজ হারিয়েছেন তিন লাখের বেশি শ্রমিক। অর্থনীতির ভিত্তি নির্মাণে মূল অবদান যাদের পোশাকশ্রমিক, প্রবাসী শ্রমিক, কৃষক, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে পাঁচ কোটির বেশি মানুষের জীবন ও জীবিকার সংকট মোকাবিলায় কোনো মনোযোগ নেই। তাহলে জীবন ও জীবিকা রক্ষা হবে কীভাবে?
প্রথম আলো: আপনার দৃষ্টিতে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক সমস্যা কোনটি?
আনু মুহাম্মদ: চোরাই টাকার মালিকদের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব। খেয়াল করে দেখেন, পাবলিক বা সর্বজনের সবকিছুর অবস্থাই খারাপ। সর্বজন পরিবহন, সর্বজন শিক্ষা, সর্বজন স্বাস্থ্যসেবা, সর্বজন নিরাপত্তা, সর্বজনের অধিকার, সর্বজনের প্রাণ-প্রকৃতি—এগুলো খারাপ বলেই বা এগুলো খারাপ করেই বাংলাদেশে চোরাই টাকার মালিকদের রমরমা অবস্থা, ধনী বৃদ্ধির হার বিশ্বে সর্বোচ্চ, বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি, বন-নদী বিনাশেও প্রথম সারিতে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিপন্ন দশা। আর এসবই ঘটছে সেই পাবলিকেরই শ্রম, টাকা দিয়ে এবং তাদের প্রতারণা করে।
প্রথম আলো: বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, নতুন ২ কোটি ২৪ লাখ দরিদ্র মানুষের জন্য বাজেটে কিছু নেই। কিন্তু অর্থমন্ত্রী নতুন দরিদ্র মানুষের অস্তিত্বই স্বীকার করছেন না। একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে আপনার মত জানতে চাইছি।
আনু মুহাম্মদ: সাদা চোখেও যা দেখা যায়, সরকার সেটা দেখারও ক্ষমতা হারিয়েছে কিংবা অস্বীকৃতির রোগ অব্যাহতই আছে। প্রকৃতপক্ষে নতুন ধনী বেড়েছে হাজারে, নতুন দরিদ্র বেড়েছে কোটিতে। পাশাপাশি ঋণগ্রস্ত, অসুস্থ, বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে বৈষম্য। সরকারের সর্বশেষ হিসাবে এখন বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক, নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধের মাসে আয় প্রায় ১৬ হাজার টাকা, চারজনের পরিবারের মাসে আয় দাঁড়ায় প্রায় ৬৪ হাজার টাকা। অথচ হিসাবে দেখা যায়, দেশে কমপক্ষে ১০ কোটি মানুষেরই পারিবারিক মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকার নিচে। এ করোনাকালে তাদের আয় আরও কমে গেছে। তাহলে গড় হিসাবের, প্রতি মাসের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আয়ের ৩০-৪০ হাজার টাকা গেল কোথায়? এর খোঁজ পাওয়া যাবে তাদের পকেটে, যাদের আয় আরও বাড়ানোর জন্য বাজেট প্রণীত হয়েছে।
প্রথম আলো: করোনাকালে অর্থনীতি সচল রাখতে সরকার এক লাখ কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা দিয়েছে। অর্থনীতি কতটা সচল আছে?
আনু মুহাম্মদ: সরকার এক লাখ কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা দিয়েছে, এ দাবি সঠিক নয়। কেননা এর বড় অংশ আসলে ব্যাংকের ঋণ, যার জন্য সরকার শুধু সুদের হার কমানোর দায়িত্ব নিয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহৎ ঋণগ্রহীতারাই এ সুবিধা পেয়েছেন, দুর্বল—যাঁদের আসলেই দরকার, তাঁদের খুব কম অংশই সুবিধা পেয়েছেন। বিস্ময়কর হলো কয়েক কোটি মানুষ যারা কাজ ও আয় হারিয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায়, তাদের জন্য সরকারের শুধু টোকেন উপহার আর শুভেচ্ছা ছাড়া কিছুই ছিল না। বিশ্বে করোনা প্রণোদনার এ রকম দৃষ্টান্ত বিরল।
প্রথম আলো: এ বাজেট গণমুখী না গণবিরোধী। যদি গণমুখী না হয়ে থাকত, বিকল্প কী হতে পারত?
আনু মুহাম্মদ: এ বাজেট যথারীতি। বাজেট তো বিচ্ছিন্নভাবে তৈরি হয় না, যে উন্নয়ন দর্শন নিয়ে দেশ চলছে, তার বছরের হিসাব-নিকাশ এটি। এর মূল ঝোঁক হলো মানুষ ও প্রকৃতির দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হলেও যেকোনো মূল্যে জিডিপি বাড়ানো, বিত্তশালীদের সম্পদ বাড়ানো ত্বরান্বিত করা। বিকল্প উন্নয়ন দর্শন হতে হবে, এমন যা শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ পাবলিক বা সর্বজনের সব ক্ষেত্র শক্তিশালী করবে। পরিবেশবান্ধব শিল্প কৃষিকে পুনর্গঠন করা, পূর্ণ রেশনিংসহ সামাজিক নিরাপত্তা শক্তিশালী করা, চোরাই টাকার তৎপরতা দমন করে উৎপাদনশীল বিনিয়োগ বাড়ানো, জনগণের অংশগ্রহণ ও সম্মতিকে অপরিহার্য করা গুরুত্ব দেবে। জনস্বার্থে বাজেট হতে হবে এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আয়-ব্যয়ের ব্যবস্থা।
প্রথম আলো: বাজেট পেশ ও বাস্তবায়নের মধ্যে যে বিরাট ফারাক থাকে, এর কারণ কী? এ জন্য কোনটি বেশি দায়ী অদক্ষতা না দুর্নীতি?
আনু মুহাম্মদ: মনোযোগ দিয়ে দেখলে দেখা যাবে সব প্রকল্প বা খাতের ক্ষেত্রে বরাদ্দ ও বাস্তবায়নের ব্যবধান একই রকম নয়। প্রশাসনিক খাতে, বিলাসিতা-কেনাকাটা-বিদেশ সফরে বরাদ্দ খরচে কোনো কমতি হয় না, যেসব প্রকল্পের সঙ্গে ক্ষমতাবান সুবিধাভোগী গোষ্ঠী যুক্ত, সেগুলো বাস্তবায়ন দ্রুত, আবার যেগুলো জনস্বার্থে দরকার কিন্তু পেছনে চাপ নেই, সেগুলো পড়ে থাকে অবহেলায়। অদক্ষতা বা টাকার অভাব কোনোটাই নয়, সমস্যা হলো অগ্রাধিকারের ও নীতিকাঠামোর। এর মধ্যেই তৈরি হয় দুর্নীতির জাল। আগ্রহ বেশি কেনাকাটা ও নির্মাণে। যেমন স্বাস্থ্যসেবা বর্তমানে জনগণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বহু অঞ্চলে হাসপাতালে টেস্ট, অক্সিজেন ব্যবস্থা, আইসিইউ নেই, ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব কিন্তু এ খাতে অবিশ্বাস্য মাত্রায় অবহেলা দেখা গেছে, কেনাকাটা করার পরও অনেক সামগ্রী বিমানবন্দরেই পড়ে ছিল মাসের পর মাস, কেনাকাটায় দুর্নীতির খবরও কিছু কিছু প্রকাশিত। অন্যদিকে রামপাল-রূপপুরসহ অসুখ তৈরির প্রকল্পে বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন হার দুটোই বেশি। টাকা কম লাগলেও দেশে শত শত এলাকার সড়ক, সেতু ভাঙাচোরা পড়ে আছে, বাঁধ ভাঙাচোরা কিন্তু তার হাজার গুণ বেশি খরচের প্রকল্প ঠিকই হচ্ছে।
প্রথম আলো: প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস পরীক্ষা চালু থাকলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল। সবকিছু খোলা রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সরকারি নীতিকে কীভাবে দেখছেন?
আনু মুহাম্মদ: সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখায় সরকারের ভূমিকা ছিল শুধু নির্দেশনামা। শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, বিশাল সংখ্যকের নেটওয়ার্ক, মোবাইল ল্যাপটপ সমস্যা দূর করায় প্রথম থেকেই উদ্যোগ, পরিকল্পনা, তহবিল ব্যবস্থা নিলে বিশাল অংশের অসহায় অবস্থা তৈরি হতো না। ২০২০ সালের বাজেটেই এ বিষয়ে বিশেষ বরাদ্দ ও ব্যবস্থা থাকা দরকার ছিল। তা করা হয়নি, এ বছরও নেই। এর ফলে অনলাইনে কার্যত খুবই ছোট একটা অংশ শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পেরেছে, সংখ্যাগুরুই পারেনি। ফলে বৈষম্য আরও বেড়েছে। বেসরকারি দুর্বল স্কুল-কলেজের বহু শিক্ষক এ সময়ে বেকার হয়েছেন, অনেকের আয় সংকুচিত হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ অপূরণীয় পারিবারিক ও জাতীয় ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন।
প্রথম আলো: বাজেট নিয়ে প্রতিবছরই আলোচনা হয়। সংসদের ভেতরে-বাইরে। জনগণ এ আলোচনা থেকে কী পায়?
আনু মুহাম্মদ: নির্বাচিত সংসদ বলে তো কিছু নেই এখন। হাত তোলা মানুষে সব প্রতিষ্ঠান ভরা। মিডিয়ায় কিছু বিষয় আসছে। কিন্তু তথ্য, যুক্তি, জনমত, বিশেষজ্ঞ মত নীতিনির্ধারকেরা পরোয়া করেন না। তারপরও এসব আলোচনায় মানুষের মধ্যে যদি তাদের জীবন ও সম্পদ, প্রাপ্য ও বাস্তবতা সম্পর্কে কিছু ধারণা পরিষ্কার হয়, সেটাই কাজের।
প্রথম আলো: দেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। কিন্তু পাচারকারীরা ধরা পড়ছে না। এর কারণ কী? অর্থমন্ত্রী পাচারকারীদের নাম জানতে চেয়েছেন।
আনু মুহাম্মদ: দেখলে বোঝা যায় না, কিন্তু অর্থমন্ত্রীর এ কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে তিনি কৌতুক ভালোই করতে পারেন। দেশে সরকারের নজরদারি ব্যবস্থা এত কড়া যে কেউ কানে কানে কোনো কথা বললেও তা জানা হয়ে যায় অথচ দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের খবর তাঁরা জানেনই না! এ বিষয়ে বাইরের সংবাদমাধ্যমে নানা খবর প্রকাশিত হচ্ছে, বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও দেশে কিছু কিছু প্রকাশিত হচ্ছে। এগুলো বের করাই তো মন্ত্রী সাহেবদের দায়িত্ব। বিভিন্ন সংস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন আছে কী জন্য?
প্রথম আলো: অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাজেট সম্পূর্ণ ব্যবসাবান্ধব। ব্যবসা বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে। কর্মসংস্থান বাড়লে বেকারত্ব কমবে। সে ক্ষেত্রে বাজেটকে কেন গণমুখী বলবেন না?
আনু মুহাম্মদ: ঠিকই, তবে আরও নির্দিষ্টভাবে বললে বৃহৎ ব্যবসায়ীবান্ধব। কারও ব্যবসা বাড়লেই কর্মসংস্থান বাড়বে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সরকারি সুবিধা নিয়ে, ব্যাংক লুট করে সম্পদ বিদেশে পাচার করলে, চোরাই পথ নিলে দেশে কাজ তৈরি হবে কীভাবে? বিনিয়োগে নদী দূষিত হলে নিট কর্মসংস্থান কমে, মৎস্যজীবী-কৃষিজীবীদের কাজের সুযোগ কমে যায়। পরিবেশ বিধ্বংসী বিনিয়োগে দেশে তৈরি হচ্ছে পরিবেশ উদ্বাস্তু। ঢাকামুখী জনস্রোত তার প্রমাণ।
প্রথম আলো: সরকারের বাজেট পেশের আগে বিএনপির পক্ষ থেকেও একটি বিকল্প বাজেট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। মৌলিক কোনো পার্থক্য আছে কি?
আনু মুহাম্মদ: পত্রিকায় কিছু সুপারিশ দেখেছি, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, দুর্নীতি কমানো, ব্যাংক খাতে সুশাসন, করোনাকালে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বরাদ্দ বাড়ানো ইত্যাদি, যেগুলো অর্থনীতিবিদসহ বিভিন্ন মহল থেকেই বলা হয়েছে। বিএনপির ক্ষেত্রে দেখার বিষয় যে তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল, ক্ষমতাসীন হিসেবে তাদের ভূমিকা। বস্তুত তাদের সময়ের উন্নয়ন দর্শনই এখনো অব্যাহত আছে। তারা এ ক্ষেত্রে কি অবস্থানগত পরিবর্তন এনেছে? না, সে রকম কোনো লক্ষণ দেখিনি।
প্রথম আলো: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার উন্নতিতে বাজেটে কি কোনো উদ্যোগ দেখেছেন?
আনু মুহাম্মদ: বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো সমাজ বিকাশের পথ অনুসন্ধান, উদ্ভাবন সৃজনশীলতার পথ উন্মোচন, অন্যায়-আধিপত্য-নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে চিন্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়ানো, প্রশ্ন তৈরি করা। সরকার এগুলোকে ভয় পায়। কারণ, সরকার চায় নির্বোধ, প্রশ্নহীন, অনুগত মানুষ। বাজেট বরাদ্দ আর কার্যক্রম দেখলেই বোঝা যায় শিক্ষা, গবেষণা ও জাতীয় সক্ষমতা বিকাশ সরকারের অ্যাজেন্ডার মধ্যে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকারি দলের শাখা প্রতিষ্ঠান বানালে, উপাচার্যদের সরকারি দলের শাখাপ্রধান হিসেবে দেখলে শিক্ষা, গবেষণা, প্রকাশনার কীভাবে উন্নতি হবে?
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ
আনু মুহাম্মদ: আপনাকেও ধন্যবাদ।
[সাক্ষাতকারটি ১৩ জুন ২০২১ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত]