অবশেষে সরকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অসাধারণ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার করে তাদের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। নিজেদের সমৃদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে গেছে, রেখে গেছে নিজেদের ও সমাজের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব। সন্দেহ নেই, এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সমাজের মধ্যে শিক্ষা সম্পর্কিত সরকারি দৃষ্টিভঙ্গি, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ নিয়ে মনোযোগ বেড়েছে। শিক্ষা যে পণ্য নয়, এর ওপর যে কর বা শুল্ক আরোপ করা যায় না, শিক্ষার যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মালিক থাকতে পারে না, শিক্ষা যে সর্বজনের অধিকার, শিক্ষা যে জনগণের অর্থে পালিত রাষ্ট্রের দায়িত্ব— এ উচ্চারণ, এ আন্দোলনে দিনে দিনে আরো জোরদার হয়েছে।
সরকার এ ভ্যাট আরোপ নিয়ে প্রথমদিকে কঠোর ও অনমনীয় অবস্থানে ছিল। এর পক্ষে যৌক্তিকতা দাঁড় করাতে গিয়ে আবোল-তাবোল বকেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বলতে চেয়েছেন, এ ভ্যাট আরোপ না করলে সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি কীভাবে চলবে? জানা গেছে, এ ভ্যাট থেকে সরকারের আয় হতো ৫০ কোটি টাকা (প্রথম আলো, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫)। কোনো কোনো হিসাবে এটি ক্রমে বেড়ে ২৫০ কোটি টাকা হতে পারত। প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার বাজেটের মুখে এ অঙ্ক কিছুই নয়। মন্ত্রী-আমলাদের বিলাসিতা ও অপচয় সামান্য কমালে, এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ির ওপর শুল্ক বসালে এর চাইতে অনেক বেশি আয় করা সম্ভব। আসলে অর্থমন্ত্রী অর্থের অভাবে যে গোঁ ধরেছিলেন তা নয়। এটা হচ্ছে তাদের নীতিগত প্রশ্ন যার মূল কথা, জনগণের কাছ থেকে যতভাবে সম্ভব আরো বেশি কর শুল্ক আদায় করতে হবে। সেজন্যই যেখানে সেখানে, অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, খোঁচা মারতে হয়। গত কয়েক বছরে এ খোঁচা মেরে মেরে সরকারের আয় অনেক বেড়েছে।
২০১০-১১ অর্থবছরে কর শুল্ক থেকে সরকারের আয় ছিল ৭৬ হাজার ৪২ কোটি টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরেই তা বেড়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। পরের অর্থবছরগুলোয় বৃদ্ধির গতি অব্যাহত থাকে। ২০১৪-১৫ নাগাদ এ বাবদ আয় বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। আর ২০১৫-১৬ সালে মানে চলতি অর্থবছরে এ বাবদ সরকারের লক্ষ্য আরো ৪২ হাজার কোটি টাকা বেশি মানে ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা আদায় করা। এ কর শুল্কের মধ্যে গত কয়েক বছরে ভ্যাট থেকে আয় বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ২০১০-১১ অর্থবছরে ভ্যাট থেকে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ছিল ২৭ হাজার কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রকৃত আদায় দাঁড়ায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এর সঙ্গে আরো ১৪ হাজার কোটি টাকা বেশি, ৬৪ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভ্যাটের আওতা বাড়ানো সবচেয়ে সহজ, কেননা এর বোঝা গিয়ে পড়ে জনগণের ওপর, সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও তারা অসংগঠিত।
এত বেশি বেশি অর্থ আদায় করে সরকার তা কোথায় ব্যয় করছে? দেখা গেছে, পাবলিক বা সর্বজনের শিক্ষা ও চিকিত্সাসহ প্রয়োজনীয় খাতগুলোয় বাজেটের অনুপাতে ব্যয় বরাদ্দ কমেছে। শিক্ষা খাতে এ অর্থবছর যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, তার চেয়ে ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় বেশি। বলা দরকার, এসব ঋণের কারণ জনগণের প্রয়োজন মেটানো নয়, এগুলো দেশী-বিদেশী জ্বালানি ও বিদ্যুত্ ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়ানো, মন্ত্রী-নেতা-আমলাদের শখ মেটানো, আর বিভিন্ন দুর্নীতি সম্প্রসারণের কারণে ঘটেছে।
গত কয়েক বছর ধরেই সরকারের প্রধান উত্সাহ মেগা (বা অতিবিশাল) প্রকল্প। অর্থমন্ত্রী বেশ উত্সাহের সঙ্গে এগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন সর্বশেষ বাজেটে, সরকারের অগ্রাধিকারভুক্ত কয়েকটি প্রকল্পের কথা বলেছেন কম ব্যয়ের প্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থ পাওয়া না গেলেও বৃহত্ প্রকল্পের অর্থের জোগাড় হচ্ছে ঠিকই। বৃহত্ প্রকল্পের বৃহত্ ব্যয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও সামগ্রিক বাজেটের আকার বড় করে দেখায়। কিন্তু এ বৃহত্ ব্যয়বহুল প্রকল্প মানেই কাঙ্ক্ষিত প্রকল্প নাও হতে পারে। সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর মধ্যে সুন্দরবনধ্বংসী রামপাল বিদ্যুত্ প্রকল্প, দেশের জন্য বিপজ্জনক রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পও অন্তর্ভুক্ত। সরকারের অগ্রাধিকারভুক্ত এ প্রকল্পগুলোর কিছু অভিন্ন সমস্যা রয়েছে। প্রথমত. স্বচ্ছতা কিংবা প্রয়োজনীয় কারণ দর্শানো ছাড়াই এ প্রকল্পগুলোর ব্যয় বারবার বৃদ্ধি করা হচ্ছে দ্বিতীয়ত. এ প্রকল্পগুলোকে টেকসই প্রকল্প হিসেবে গ্রহণের জন্য যে ধরনের Cost Benefit Analysis বা ‘ব্যয়-লাভ বিশ্লেষণ’ করা দরকার, যেভাবে সামাজিক ও পরিবেশগত অভিঘাত সমীক্ষা করা দরকার, সেগুলো উপেক্ষা করা হয়েছে। তৃতীয়ত. এসব প্রকল্প এলাকায় জনগণের সম্মতি নেয়ার পরিবর্তে নিপীড়নমূলক আবহাওয়া তৈরি করা হয়েছে। অর্থনীতি, জননিরাপত্তা ও পরিবেশ হুমকির মধ্যে ফেলে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশী-বিদেশী কতিপয় গোষ্ঠী লাভবান হতে পারে; কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি টেকসই উন্নয়নের কোনো দিকনির্দেশনা দিতে পারে না। উন্নয়নের নামে এগুলো হলো ধ্বংসের একেকটি বাহন।
বছর বছর সব ব্যয়বহুল প্রকল্পগুলোর অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে সরকারের আয় বাড়ানোর চাপও বাড়ছে। কিন্তু এ ব্যয় বৃদ্ধির কারণ কী যেখানে, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে পাঁচ বছর ধরেই নির্মাণ উপকরণের দাম নিম্নমুখী?’। ‘শিল্পের বিভিন্ন উপকরণ ও ভোগ্যপণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্য পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। দেশের বাজারেও কমেছে নির্মাণসামগ্রীর দাম।’ তার পরও প্রকল্প ব্যয় বাড়ছেই। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ‘পরিকল্পনা কমিশনের তথ্যমতে, গত দুই অর্থবছরে সংশোধিত ১৩২টি প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা।’ (বণিক বার্তা, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫) এ বাড়তি অর্থের বোঝা কে টানবে, জনগণ ছাড়া?
তার মানে ধ্বংসাত্মক প্রকল্প আর দুর্নীতির পাহাড় তৈরি করে অযৌক্তিকভাবে ব্যয় বাড়ানোর পুরো বোঝা চাপাতে গিয়েই ঋণ আর করের বোঝা বাড়ছে জনগণের ওপর। ‘কর-জিডিপি’ অনুপাত নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা সব সময় কথা বলেন। তারা বলেন এ অনুপাত বাংলাদেশে অনেক কম, সুতরাং কর আরো বৃদ্ধি করা দরকার। কিন্তু এ কথা বলে পা দোলালে তো হবে না। কেননা যাদের কাছ থেকে কর আদায় করতে পারলে কর-জিডিপি অনুপাত দ্বিগুণ করা সম্ভব, সেই চোরাই অর্থনীতির নেতারা যে ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকে, সেটাও তো বলতে হবে। আর প্রশ্ন তুলতে হবে যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যারা কর দেন, তাদের পাওনা না মিটিয়ে সেই অর্থ কোথায় ব্যয় হয়? সেজন্য নতুন একটি অনুপাত ‘কর-পরিষেবা (সার্ভিস)’ অনুপাত আলোচনা ও বিশ্লেষণে আনতে হবে। অর্থাত্ যতটুকু কর আমরা দিচ্ছি, তার কতটা আমরা ফেরত্ পাচ্ছি, তার হিসাব করতে হবে জোর দিয়ে। জনগণ কর শুল্কসহ সরকারকে অর্থ সম্পদ জোগান দেয় তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, সুস্থ নিরাপদ জীবন ও জীবিকার জন্য, সর্বজনের সম্পদ রক্ষার জন্য, সর্বজনের শিক্ষা চিকিত্সা সম্প্রসারণের জন্য। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা সীমাহীন। বরং উল্টো ভূমিকায় আবির্ভূত হতে দেখা যায় বারবার।
এ উল্টো ভূমিকারই ফলাফল শিক্ষা ও চিকিত্সার বাণিজ্যিকীকরণ। নব্বই দশকের শুরু থেকে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মালিকানাধীন বেসরকারি বা বাণিজ্যিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা। মালিকরা এসব প্রতিষ্ঠানকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করলেও মুনাফা এসব প্রতিষ্ঠানের চালিকাশক্তি। সেজন্য এসব বাণিজ্যিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন ফি অনেক বেশি। চাহিদা ও মুনাফাযোগ্যতা উত্সাহব্যঞ্জক হওয়ার কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংখ্যা পরবর্তী বছরগুলোয় বেড়েছে দ্রুত। শিক্ষা যে এত লাভজনক বিনিয়োগ ক্ষেত্র হতে পারে, তা আগে অনুধাবন না করলেও পরে এ মুনাফার টানে শিক্ষার সব পর্যায়ে এ ধরনের বাণিজ্যিক উদ্যোগ বাড়তে থাকে। স্কুল থেকে বিশ্ব্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। বেতন ফি এসব প্রতিষ্ঠানে অনেক বেশি। তার মানে এটি নয় যে, এখানে যে শিক্ষার্থীরা পড়ে, তারা সবাই সচ্ছল বা বিত্তবান পরিবারের সন্তান। বরং অধিকাংশই মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আগত। প্রাথমিক স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পাবলিক বা সর্বজন প্রতিষ্ঠানে স্থান সংকুলানের অভাবসহ নানা কারণে এসব প্রতিষ্ঠানেই ভর্তি হচ্ছে সমাজের বড় অংশ। সীমিত বা নিম্ন আয়ের মানুষরা ধারদেনা করে, জমি বিক্রি করে, অনেক ঝুঁকি নিয়ে প্রবাসে কাজ খুঁজে বা দেশে বাড়তি কাজ করে সন্তানকে পড়াচ্ছেন, যাতে সন্তানের অবস্থা বদলায়, তাদের মতো না থাকে। চিকিত্সা ক্ষেত্রেও এ অবস্থা। শিক্ষা ও চিকিত্সার এ বাণিজ্যিকীকরণের কারণে সাধারণভাবে শিক্ষা ও চিকিত্সা খাতে মানুষের ব্যক্তিগত/পারিবারিক ব্যয় বেড়ে গেছে অনেক। শিক্ষা ও চিকিত্সা সর্বজনের জন্য অধিকার হলেও এসব ক্ষেত্রে সরকারের দায়দায়িত্ব কমানোর নীতিগত অবস্থানের কারণেই এসব প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণ করা হয়নি।
শিক্ষা ও চিকিত্সাকে ক্রমে বাণিজ্য ও মুনাফার উপাদানে পরিণত করার নীতি ও দর্শনের প্রভাব সর্বজন বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা হাসপাতালগুলোর অভ্যন্তরে আরো অনেক বিষময় প্রবণতা তৈরি করেছে। বাণিজ্য, মুনাফা বা টাকার উন্মাদনা সমাজের সুবিধাভোগী সমাজের অন্যান্য অংশের মতো এখানেও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। বাজার থেকে শিক্ষা চিকিত্সাসহ সবকিছু বর্ধিত দামে কেনার বাধ্যবাধকতা এ পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ডাক্তারদের বেতন, সুযোগ-সুবিধা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় কম। কিন্তু বাণিজ্যিক বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ক্লিনিক/হাসপাতাল গড়ে উঠেছে, টিকে আছে, কাজ করছে সর্বজন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বিশেষজ্ঞদের দিয়েই। বেতন সেখানে বেশি, বাজারের টান সেদিকেই। কিন্তু সর্বজন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য সময় এমনকি অবকাঠামো অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্যিকীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করছে। কোনো কোনো সর্বজন বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের প্রাঙ্গণেই ভিন্ন শিফট করে বাণিজ্যিক তত্পরতায় নিয়োজিত হয়েছে। মুনাফামুখী তত্পরতাই এখন প্রাধান্যে। শিক্ষাও এর শিকার, শিক্ষার্থীরা অসহায় নিপীড়িত দর্শক।
যারা এ দেশেরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান বা প্রাক্তন শিক্ষক হিসেবে এসব নীতি প্রণয়নে যুক্ত কিংবা এগুলোর পক্ষে ওকালতি করেন, আমি জানি না, তাদের ক’জন বাজারদরে শিক্ষা কিনে এ পর্যন্ত আসতে পারতেন কিংবা বর্তমানের যারা প্রকৌশলী, ডাক্তার, বিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, তারা ক’জন উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করতে পারতেন? নিজের বেলায় বলতে পারি, আমি পারতাম না। সর্বজন শিক্ষার দায় রাষ্ট্রকে এজন্যই দেয়া হয়। যাতে রাষ্ট্র জনগণের অর্থ ব্যয় করে তার মধ্য দিয়ে জনগণের শিক্ষার অধিকার শুধু নয়, সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা নিশ্চিত করে, সমাজকে বিকশিত হওয়ার পথ তৈরি করে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, মনে করিয়ে দিতে হবে যে, সরকারের অর্থ বলে কিছু নেই। সরকারের হাতে যত অর্থ, তা সবই জনগণের। তাই হিসাব বুঝে নেয়ার জন্য জনগণের মধ্যে মালিকানা বোধ তৈরি খুব জরুরি। সর্বস্তরে দেশের সম্পদ, সরকারের কাছে থাকা প্রতিটি টাকা মানে নিজেদের অর্থের ওপর জনগণের অধিকার চর্চার পথ তৈরি করতে হবে, বেহাত হয়ে যাওয়া মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রশ্ন তুলতে হবে।
(১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখে বণিক বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত)