বিশেষজ্ঞমত ও জাতীয় জাগরণ উপেক্ষা করে গত ৫ অক্টোবর, নির্ধারিত তারিখের ১৭ দিন আগে, ২৫০ কিমি দূর থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে রামপালে সেই ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেছেন। বলাবাহুল্য, এসব ‘চালাকি’ সরকারের শক্তির নিদর্শন নয়, বরং তাদের নৈতিক পরাজয়ের লক্ষণ। এটা প্রমাণ করে যে, বৈজ্ঞানিক তথ্য যুক্তির সামনে দাঁড়ানোর কোন তথ্য যুক্তি সরকারের নেই; গণরায়ের সামনে দাঁড়ানোর নৈতিক সাহস তাদের নেই। সেজন্যই এই ফলক বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সুন্দরবন ধ্বংসের তৎপরতার একটি চিহ্ন হয়ে থাকবে। ‘উন্নয়ন’ নামের এই ধ্বংসের প্রকল্পকে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বের নির্দশন হিসেবে আখ্যায়িত করলেও এটি কার্যত ভারতের সঙ্গে বৈরীতা বৃদ্ধির একটি প্রকল্প। সরকার এই প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হবার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের পথ আরও সংকুচিত করেছেন। ভারতের আগ্রাসী নীতি এবং দুইদেশের কতিপয় গোষ্ঠীর মুনাফা আগ্রাসী তৎপরতার কাছে সরকার আত্মসমর্পণ করেছেন। সুন্দরবনকে ধ্বংস করার এই প্রকল্প কাজের আনুষ্ঠানিক ফলক উন্মোচনের দিন তাই বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্কেরও একটি কলঙ্ক হয়ে থাকবে।
এর আগে গত ৩-৫ মার্চ ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি ঢাকায় প্রদত্ত বক্তব্যে সুন্দরবন রক্ষায় দুইদেশের যৌথ ভূমিকার আহবান জানিয়েছিলেন। আমরা স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু ক্রমান¦য়ে দেখতে পাচ্ছি, দুইদেশের সরকার যৌথভাবে রামপাল বিদ্যুৎ প্লান্টের মাধ্যমে বরং সুন্দরবন ধ্বংসের আয়োজন করছেন। আশার কথা এই যে, দুই দেশের জনগণের পক্ষ থেকেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ সংগঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে সুন্দরবন রক্ষার লক্ষে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবানে লংমার্চ কর্মসূচিতে অসংখ্য মানুষ সাড়া দিয়েছেন।
দেশের শিল্প, কৃষি, ব্যবসা, শিক্ষা চিকিৎসা, জীবনযাপন এবং সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সম্ভব মতো কম দামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অত্যাবশ্যক। এর জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাবলীর সুপারিশ আমরা বিভিন্ন সময়ে করেছি। মূল কথা হল জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের সম্পদ শতভাগ জনগণের মালিকানায় রেখে তার পুরোটা বর্তমানে ও ভবিষ্যতে দেশের কাজে লাগানো, খনিজ সম্পদ রফতানি নিষিদ্ধ করা, নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য জ্বালানীর সংমিশ্রণে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। দেশ ও জনগণ এতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট থেকে খুব দ্রুত মুক্ত হতে পারতো। কিন্তু এভাবে অগ্রসর হলে বহুজাতিক কোম্পানি, দেশি কতিপয় ব্যবসায়ী ও কমিশনভোগীরা বিরাট লুটপাট থেকে বঞ্চিত হতো সেটাই নীতিনির্ধারকদের জন্য সমস্যা।
সুন্দরবনের আঙিনায় রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘসময় ধরে সমীক্ষা করে এই প্রকল্পের ভয়াবহতা সম্পর্কে এর আগেই সতর্ক করেছেন। পরে এনিয়ে অন্য বিশেষজ্ঞরাও প্রায় একইরকম বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞমত ও জনগণের বিরোধিতা উপেক্ষা করে, পরিবেশ অভিমত সমীক্ষা (ইআইএ) না করে, সরকার এলাকার মানুষের জমি দখল করেছে এবং মানুষ উচ্ছেদ করেছে। প্রতিবাদকারীদের উপর পুলিশ ও সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বহুবার। জমি অধিগ্রহণ ও প্রাথমিক চুক্তি সম্পন্ন করবার পরেই ইআইএ রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল ইআইএ রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় একটি পর্যালোচনা সভার আয়োজন করে। উক্ত সভায় বিশেষজ্ঞরা ইআইএ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে নতুন ইআইএ রিপোর্ট প্রণয়ন করার জন্য দাবী জানান। একই সভায় নতুন রিপোর্ট না হওয়া পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখারও দাবী জানানো হয়। ইআইএ রিপোর্ট এভাবে প্রত্যাখ্যাত হবার পরেও গত ২০ এপ্রিল রামপাল বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত যে চুক্তি স্বাক্ষর করে তাতে দুইদেশের সরকার যৌথভাবে আন্তর্জাতিক বিধি লংঘন করে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, প্রাণ-বৈচিত্রের অসাধারন আধার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের সবচাইতে শক্তিশালী প্রাকৃতিক রক্ষা বর্ম সুন্দরবন ধ্বংস করার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করেছে। উপরন্তু এই চুক্তিতে ভারতীয় কোম্পানির উচ্চ মুনাফা নিশ্চিত করার জন্য কর মওকূফ, বিদ্যুতের দাম অনির্ধারিত রাখাসহ সবধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটায় বলে সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতির ১৫ থেকে ২৫ কি.মি এর মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়না। ভারতীয় কোম্পানী বাংলাদেশে সুন্দরবনের ৯-১৪ কি.মির মধ্যে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে। বাফার জোন বিবেচনা করলে এই দূরত্ব ৪ কিমি। অথচ ভারতেরই ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশান অ্যাক্ট ১৯৭২’ অনুযায়ী, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৫ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে এবং ভারতের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় প্রণীত পরিবেশ সমীক্ষা বা ইআইএ গাইড লাইন ম্যানুয়াল ২০১০ অনুযায়ী, কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৫ কিমি এর মধ্যে কোন বাঘ/হাতি সংরক্ষণ অঞ্চল, জৈব বৈচিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল, জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য কিংবা অন্যকোন সংরক্ষিত বনাঞ্চল থাকা অনুমোদন করা হয় না। ভারতীয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ‘তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত গাইডলাইন, ১৯৮৭‘ অনুসারেও কোন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৫ কিমি এর মধ্যে কোন কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ স্থাপন করা যায় না। এজন্য গত কয়েকবছরে ভারতের কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে তিনটি বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসিকে বাংলাদেশে সুন্দরবনের যত কাছে পরিবেশ ধ্বংসকারী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে দেয়া হচ্ছে, তার নিজ দেশ ভারতে হলে সেখানকার আইন অনুযায়ী তা তারা করতে পারতো না!
ভারতীয় কোম্পানির মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা নিশ্চিত করতে ও দেশি কিছু সুবিধাভোগীর স্বার্থে প্রণীত এই ধ্বংসাত্মক প্রকল্পের সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বলা হচ্ছে যে, এই প্রকল্পে সুপারক্রিটিকাল টেকনলজি ব্যবহার করা হবে, সেজন্য সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না। আমাদের প্রশ্ন প্রথমত, এই প্রযুক্তিতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শতকরা ১০ ভাগ ক্ষতি কম হয় ঠিক, কিন্তু তাতে সুন্দরবনের ধ্বংসের সামগ্রিক ক্ষতি কীভাবে কমবে? দ্বিতীয়ত, এই প্রযুক্তি যদি সুন্দরবন ধ্বংস ঠেকানোর মতো এতো নিশ্চিত প্রযুক্তি হয় তাহলে ভারতীয় কোম্পানি কেনো ভারতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সকল ক্ষতি দূরীভূত করে না? কেনো গত তিন বছরে তাদের তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল হয়?
সরকার যখন একদিকে বিদ্যুৎ সংকটের সমাধানের কথা বলে সুন্দরবন ধ্বংসী তৎপরতায় লিপ্ত ঠিক সেসময়ই বঙ্গোপসাগরের বিশাল সম্ভাব্য মজুদের ওপর বাংলাদেশের কর্তৃত্ব বিনাশ করে এই সম্পদের বিশাল সম্ভাবনা নষ্ট করছে। গ্যাস সংকট চলছে, কনোকো ফিলিপস-এর সঙ্গে রফতানিমুখি চুক্তিও বলবৎ আছে। এরমধ্যে পুঁজির অভাবের কথা বলে অগভীর সমুদ্রের তিনটি ব্লক দুটি মার্কিন ও ভারতীয় কোম্পানিকে দেয়া হয়েছে। অথচ তারা পাঁচ বছরে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করবে তার সমপরিমাণ ‘গ্যাস উন্নয়ন তহবিলে’ অলস পড়ে আছে।
সম্প্রতি সরকার বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির দাবি অনুযায়ি পিএসসি-২০১২ সংশোধন করে আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এই সংশোধনীতে কোম্পানিগুলোর সুবিধা এত বেশি বাড়ানো হয়েছে যে, এরপর থেকে বাংলাদেশকে নিজের গ্যাস আমদানি করা আন্তর্জাতিক দামের বেশি খরচে কিনতে হবে। উপরন্তু সম্পূর্ণ জিম্মি থাকতে হবে এইসব কোম্পানির হাতে। তাদের কাছ থেকে গ্যাস কেনার জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে শতকরা প্রায় ৫০ থেকে ৭০ ভাগ। তাছাড়া যে কোন দামে তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির সুবিধা দিয়ে পুরো জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে অসম্ভব ব্যয়বহুল করে ফেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরপরও বিদেশি কোম্পানির কর মওকূফ করা হচ্ছে। গ্যাসের উপর তাদের কর্তৃত্বের অনুপাতও বাড়ানো হচ্ছে। কস্ট রিকভারি হিসেবে তাদের মালিকানা শতকরা ৫৫ ভাগের স্থলে করা হচ্ছে ৭০ ভাগ। জ্বালানী নিরাপত্তা ও জ্বালানী সংকট সমাধানের যে শক্তিশালী সম্ভাবনা বাংলাদেশে আছে, পিএসসি ২০১২ অনুযায়ী চুক্তি স্বাক্ষর হতে থাকলে তা সম্পূর্ণ নি:শেষ হবে। সম্পদ পরিণত হবে অভিশাপে।
বিশেষজ্ঞরা তো বটেই, এমনকি পিডিবির মধ্য থেকেও বলা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট মেরামত করলে খুব কম খরচে প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট বাড়তি বিদ্যুৎ পাওয়া যেতো। সেটা না করে ৮ গুণ বেশি দামে তার থেকে কম বিদ্যুৎ পাবার জন্য রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের ফাঁদে দেশকে ফেলে ভয়াবহ ঋণের বোঝা তৈরি করেছে সরকার। নবায়নযোগ্য জ্বালানীর বিশাল সম্ভাবনাও ক্ষুদ্র কিছু উদ্যোগের মধ্যে আটকে রেখে বিদেশি কোম্পানির ওপর পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে বিপজ্জনকভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট অনুমোদন করা হয়েছে, সুন্দরবন ধ্বংসের আয়োজন চলছে।
বিদ্যূৎ ও জ্বালানি সংকট নিরসনের নামে, দেশী বিদেশী এই লুটেরা গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে, সরকার বারবার দেশের জন্য সর্বনাশা পথ গ্রহণ করছে। এইকাজে বৃহৎ দল ও তাদের সরকারগুলোর মধ্যে আমরা নীতিগত পার্থক্য দেখি না। জনস্বার্থ বিবেচনায় না নিয়ে কিছু দেশি বিদেশি গোষ্ঠীর স্বার্থে পরিচালিত হওয়ায়, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের নামে যেসব তৎপরতা চলছে তা দেশের জন্য একের পর এক বিপদ তৈরি করছে। সুন্দরবন-কৃষিজমি-শহর ধবংসী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাটি পানি মানুষ বিনাশী ফুলবাড়ী-বড়পুকুরিয়ার উন্মুক্ত খনির চক্রান্ত অব্যাহত রাখা, বঙ্গোপসাগরের গ্যাস ব্লক একতরফা সুবিধা দিয়ে বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা, কুইক রেন্টালের নামে ১৪ থেকে ১৭ টাকা কিংবা তারও বেশি দরে বিদ্যুৎ ক্রয়, কোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি না করে, জনবল তৈরি না করে, প্রয়োজনীয় সমীক্ষা না করে বিদেশি কোম্পানি নির্ভর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্যোগ ইত্যাদি প্রকৃতপক্ষে জনস্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে কিছু গোষ্ঠীর মুনাফা ও লুটপাটের আয়োজন ছাড়া আর কিছু নয়।
আমরা বারবার বলছি, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প আছে, সুন্দরবনের কোন বিকল্প নেই। সুন্দরবন নাই মানে একেকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষ জীবন হারাবেন। সুন্দরবন ধ্বংস মানে অরক্ষিত বাংলাদেশ। এই পথ থেকে সরকারকে অবশ্যই সরে আসতে হবে। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সুন্দরবনধবংসী সব তৎপরতা বন্ধ করে গ্যাস বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে জাতীয় কমিটির ৭ দফার ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হলে টেকসই বিদ্যুৎ যোগানও সুলভ ও নিশ্চিত হবে।।
(অক্টবর ০৯,২০১৩ তারিখে আমাদের বুধবার এ প্রকাশিত)