এ রকম প্রশ্ন আমরা প্রায়ই শুনি যে, ‘আপনারা কয়লা উত্তোলন করতে দিচ্ছেন না, গ্যাস উত্তোলন করতে দিচ্ছেন না। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের বিরোধিতা করছেন, পারমাণবিক বিদ্যুতের বিরোধিতা করছেন। তাহলে বিদ্যুত্ কীভাবে হবে? উন্নয়ন কীভাবে হবে?’ একদিন এক টিভি টকশোতে আলোচনার একপর্যায়ে এক দর্শক ভদ্রলোক আমার উদ্দেশে প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ করলেন, ‘আপনারা আসলে কী চান? আপনারা তো সবকিছুরই বিরোধিতা করেন। আপনারা টিকফার বিরোধিতা করেন, তেল-গ্যাস নিয়ে চুক্তির বিরোধিতা করেন, গ্যাস রফতানির বিরোধিতা করেন, উন্মুক্ত খনির বিরোধিতা করেন, রেন্টাল-কুইক রেন্টালের বিরোধিতা করেন, বিশ্বব্যাংকের বিরোধিতা করেন, ট্রানজিটের বিরোধিতা করেন। বাংলাদেশকে আসলে আপনারা কোথায় নিতে চান?’ আমি ভদ্রলোকের উদ্দেশে বললাম, আপনি আপনার প্রশ্নটা আরো সংক্ষেপে এভাবে করতে পারতেন যে, ‘আপনারা কেন জনগণের সম্পদ ডাকাতি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা আর জনবিরোধী চুক্তির বিরোধিতা করেন?’
হ্যাঁ, আমরা এগুলোর বিরোধিতা করি। আমরা এগুলোয় না বলি, কেননা আমাদের মধ্যে জনগণের পক্ষে এক প্রবল ‘হ্যাঁ’র শক্তি আছে। আমরা চাই, দেশের সব সম্পদ জনগণের, তার মালিকানায় তার স্বার্থে এগুলোর সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই, দেশের সীমিত সম্পদ কতিপয় দেশী-বিদেশী লুটেরার স্বার্থে রফতানি করা যাবে না। এর শতভাগ দেশের কাজে লাগাতে হবে। আমরা চাই, দেশের উন্নয়ন নীতির কেন্দ্রে থাকবে মানুষ, কতিপয় গোষ্ঠীর মুনাফা নয়। উন্নয়নের নামাবলি গায়ে দিয়ে এরা সুন্দরবনকেও ধ্বংস করে দখল, লুণ্ঠন ও মুনাফার জন্য উন্মাদ হয়ে ওঠে। আমাদের দায়িত্ব প্রবল ‘না’ দিয়ে সুন্দরবন রক্ষা করা।
উন্নয়নের মুলা ঝুলিয়েই তারা বারবার ভয়ঙ্কর প্রকল্প নিয়ে এসেছে। মার্কিন কোম্পানির মালিকানায় দেশের গ্যাস সম্পদ ভারতে রফতানির জন্য একসময় শোরগোল তুলেছিল সরকারের মন্ত্রী, আমলা, কনসালট্যান্ট, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, বিভিন্ন দূতাবাস। এরা সবাই মিলে হই হই করছিল এই বলে যে, দেশ গ্যাসের ওপর ভাসছে, অতি শিগগির এ গ্যাস রফতানি না করলে দেশের সর্বনাশ হবে। রফতানি করলে দেশ উন্নয়নে ভরে যাবে। তখন দেশের ব্যবসায়ীদের কতিপয় নেতা মার্কিন কোম্পানির কমিশনভোগী হিসেবে এ প্রচারে যোগ দিয়েছিল। এমন প্রচারও হয়েছিল যে, গ্যাস রফতানি না করলে মার্কিন বাজারে তৈরি পোশাক প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। পুরো গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে এবং বেকার হয়ে পড়বে লাখ লাখ মানুষ। আমরা তখন এই প্রবল আওয়াজের বিরুদ্ধে না বলেছিলাম, জনগণ আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল এবং গ্যাস রফতানির ভয়াবহ আয়োজন পরাস্ত হয়েছিল। এটা হয়েছিল বলে দেশে এখনো গ্যাস আছে, বাতি জ্বলে, কারখানা চলে, ব্যবসা চলে, সিএনজির কারণে ঢাকা শহরে এখনো শ্বাস নেয়া যায়। তখন যারা এই গ্যাস রফতানির জন্য লম্ফঝম্ফ করছিল, তারাই কয়েক বছর পর শুরু করল বিদেশী আনাড়ি কোম্পানির মাধ্যমে উন্মুক্ত খনি, কয়লা রফতানির পক্ষে প্রচার। উত্তরবঙ্গে গ্যাস না দিয়ে বিদেশে রফতানি করতে চেয়েছিল যারা, তারাই বলে— উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য, বিদ্যুতায়নের জন্য উন্মুক্ত খনি ছাড়া আর কোনো পথ নেই!
কী সেই প্রকল্প, যার পেছনে মন্ত্রী, এমপি, তথাকথিত বিশেষজ্ঞ, কতিপয় সাংবাদিককে এখনো ঘুরতে দেখা যায়? নতুন গঠিত অনভিজ্ঞ একটি বিদেশী কোম্পানি এশিয়া এনার্জির এই ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্প অনুযায়ী বাংলাদেশের জন্য মাত্র ৬ শতাংশ রয়্যালটি দিয়ে পুরো খনির স্বত্ব লাভ করতে চেয়েছিল, ৮০ শতাংশ কয়লা রফতানি করে মুনাফা নিশ্চিত করার আয়োজন করেছিল। ফুলবাড়ী, বিরামপুর, পার্বতীপুরসহ ছয় থানা অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম বলে জমি তিন ফসলি এবং বাংলাদেশের শস্যভাণ্ডার বলে এ অঞ্চল পরিচিত। শুধু খাদ্য উত্পাদন নয়, পানিও এ অঞ্চলে এক বিরাট সম্পদ। এ কোম্পানি দেশের আবাদি জমি, পানি ও মানুষের সর্বনাশ করে মাত্র ৬ শতাংশ রয়্যালটি দিয়ে দেশের কয়লা বিদেশে পাচার করতে চেয়েছিল।
১৯৮৭-১৯৯১ সময়কালে যুক্তরাজ্যের খনিজ অনুসন্ধান ও কনসালট্যান্সি ফার্মখ্যাত মেসার্স ওয়ার্ডেল আর্মস্ট্রং বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ওপর আর্থ-প্রাযুক্তিক এক সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেই সমীক্ষা শেষে তারা বড়পুকুরিয়ায় উন্মুক্ত খনন পদ্ধতি কারিগরি কারণেই সম্ভব নয় বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। তাদের হিসাব অনুযায়ী, ৩০ বছরের খনি জীবনে প্রতি সেকেন্ডে সেখানে ৮-১০ হাজার লিটার পানি প্রত্যাহার করতে হবে। এত দীর্ঘসময় ধরে এভাবে ভূগর্ভস্থ পানি প্রত্যাহারের যে ফলাফল, তা যে ভয়াবহ বিপর্যয় তৈরি করতে পারে, সেটা কোনো খনির জন্যও অনুকূল নয়।
এশিয়া এনার্জির ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্পেও এ হারেই ভূগর্ভস্থ পানি প্রত্যাহার মানে দিনপ্রতি ৮০ কোটি লিটার পানি তোলার কথা বলা হয়েছিল। বর্তমানে উত্তরাঞ্চলে কৃষি আবাদের জন্য বছরে এর এক-শতমাংশেরও কম পানি তোলা হয়, এটিকে কৃষি ও ভূবিজ্ঞানীরা সেই অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর রক্ষার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করেন। ফলে এখনই এ অঞ্চলের ৩০ শতাংশ টিউবওয়েল অচল হয়ে পড়েছে। সেখানে দিনপ্রতি ৮০ কোটি লিটার পানি উঠালে প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা চিন্তা করতেও ভয় হয়। পেট্রোলিয়াম ও খনিজ বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী একেএম শামসুদ্দীন উত্তরাঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক গঠন ও পানির স্তর পরীক্ষা করে বলেছেন, ‘এভাবে ভূগর্ভস্থ পানি প্রত্যাহারে আকুইফার বা ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাকে শুধু ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, বিপর্যস্ত করে পুরো এলাকারই মরুকরণ ঘটাবে।’ পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার (ওয়ারপো) সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম. ইনামুল হকও বিশ্লেষণ করে একই সিদ্ধান্তে এসেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ড. বদরুল ইমাম ও ড. আফতাব আলম খান, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁদের বিভিন্ন লেখা ও বক্তব্যে।
তাছাড়া খনি অঞ্চলে বিপুল জনবসতি। দেশের গড় জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ হাজার ৭৯, যেখানে তা অস্ট্রেলিয়ায় ৩, যুক্তরাষ্ট্রে ৩২, ইন্দোনেশিয়ায় ১২০, চীনে ১৩৯, জার্মানিতে ২৩৭ এবং ভারতে ৩৬৩। সারা দেশে জনঘনত্ব এত বেশি থাকার ফলে এক অঞ্চল থেকে সরিয়ে বসতি এবং সমাজ জীবন প্রতিস্থাপন একেবারেই অসম্ভব। বিষয়টা শুধু ফুলবাড়ী অঞ্চলের নয়; উত্তরবঙ্গে যদি কৃষি আবাদ, পানি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়, তাহলে এই পুরো অঞ্চলই মানুষের বসবাস ও আবাদের অযোগ্য হয়ে যাবে। তাদের সবার জন্যই ভিন্ন আবাস, কৃষি আবাদ আর সমাজ জীবন প্রতিস্থাপন করতে হবে। সেটা কোথায়? আর অবিরাম খাদ্য উত্পাদনের এলাকা ধ্বংস হয়ে খাদ্য উত্পাদনের যে ঘাটতি হবে, তার সমাধান কী হবে? উন্মুক্ত খনন পদ্ধতি একের পর এক দেশে হয় জনপ্রতিরোধের মুখে অথবা রাষ্ট্রীয় বিধিবিধান দ্বারা নিষিদ্ধ অথবা সীমিত হচ্ছে। কোস্টারিকা, ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা, এমনকি ভারতেও অনেক প্রকল্প বাতিল হয়েছে।
তার পরও কোনো বৈধ অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ফুলবাড়ী কয়লা খনি দেখিয়ে এশিয়া এনার্জি (জিসিএম) লন্ডনে শেয়ার ব্যবসা করছে প্রায় ১০ বছর ধরে। এর মধ্যে তিনটি সরকার ক্ষমতায় থেকেছে, কোনো সরকারই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। এ পর্যন্ত সরকারের উদ্যোগে বেশ কয়টি কমিটি করা হয়েছে; ২০০৬ সালে ড. নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে, ২০০৭ সালে আবদুল মতিন পাটোয়ারির নেতৃত্বাধীন এবং ২০০৮ সালে সেটির পর্যালোচনা কমিটি, ২০১১ সালের মোশাররফ হোসেন কমিটি করা হয়েছিল। বিভিন্ন ধরনের চাপ ও কূটকৌশল থাকা সত্ত্বেও কোনোটিই এশিয়া এনার্জির ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্পের পক্ষে, কোম্পানি বা উন্মুক্ত খনির পক্ষে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য-যুক্তি উপস্থাপন করেনি। উন্মুক্ত খনি ও ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্প নিয়ে এশিয়া এনার্জির উন্নয়ন পরিকল্পনার দুর্বলতা ও অসঙ্গতি এত বেশি যে, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ২০০৮ সালেই প্রকল্প থেকে সরে যায়। জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ দলও এ প্রকল্প গ্রহণের বিরুদ্ধে মত দিয়ে সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
এতে পরিষ্কার হয় যে, জনগণের ভূমিকা খুবই যুক্তিযুক্তভাবে অগ্রসর হয়েছে এবং ২০০৫ সাল থেকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভয়ঙ্কর এক বিপদ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে জনগণই। এজন্য জীবনও দিয়েছেন তারা। ২৬ আগস্ট ‘ফুলবাড়ী দিবস’। নয় বছর আগে এই দিনেই ফুলবাড়ী, বিরামপুর, পার্বতীপুর, নবাবগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের মানুষ ‘তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত্ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি’র ব্যানারে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। জীবন দিয়েছিলেন শুধু দেশের সম্পদ রক্ষার জন্যই নয়, দেশের নিশানা বদলে দেয়ার জন্য। ফুলবাড়ী গণঅভ্যুত্থান দেশ ও দেশের সম্পদের ওপর লুটেরাদের থাবা মুচড়ে দিয়েছিল। তাঁদের বার্তা এখনো ধরে আছেন মানুষেরা: এ দেশের সম্পদ এ দেশের মানুষের। দেশী বিদেশী লুটেরাদের স্বার্থে নয়, দেশ ও জনগণের স্বার্থে তার শতভাগ ব্যবহার করতে হবে।
এ প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, কয়লা সম্পদ ব্যবহার হবে কীভাবে? কোন ব্যবহার দরকার, কোন পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য, তা নির্ভর করে কার স্বার্থ সেখানে গুরুত্ব পাচ্ছে তার ওপর। বিদেশী কোম্পানির জন্য যত তাড়াতাড়ি তুলে দেশী বা বিদেশী বাজারে নেয়া যায়, ততই লাভজনক; মানুষ, প্রকৃতি, খাদ্য, বাসস্থান নিয়ে তার কী? আর দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা চাইব, এই অনবায়নযোগ্য সম্পদের প্রতিটি বিন্দু আমাদের কাজে লাগবে। যত দিন সম্ভব এর ব্যবহার করব আমরা এবং তা করব এমনভাবে, যাতে মাটির নিচের সম্পদ তুলতে গিয়ে মাটি ও তার উপরের সম্পদ নষ্ট না হয়, পুরো অঞ্চল ধ্বংসস্তূপ, বিরান বিষাক্ত অঞ্চলে পরিণত না হয়। মানুষই যদি না থাকতে পারে, তাহলে বিদ্যুত্ কে ভোগ করবে? ওই অঞ্চলে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, পুকুর, নদী, খাল, মাছ, হাঁস-মুরগি, কৃষিজমি, ফল, ফুল, সবজি, পুরাকীর্তি আছে, আছে কয়লা। ব্যবসায়ী কোম্পানির চোখে সবকিছু অদৃশ্য হয়ে বিপুল মুনাফার উত্স কয়লায় গিয়ে চোখ আটকে থাকতেই পারে। স্বাধীন মানুষের তা হবে কেন? মানুষ তো সবকিছু দেখে বুঝেই বিচার বিবেচনা করবে।
তাহলে পথ কী? ভূমি, মাটি, পানি, পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে কয়লা সম্পদ কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তার জন্য অনেক দিন থেকেই গবেষণা হচ্ছে। আরো নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। আর বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঠিকঠাকমতো অগ্রসর হতে গেলে এ দেশেও গবেষণার সুযোগ সম্প্রসারণ করতে হবে। সবকিছু বিবেচনায় যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, নিজেদের কর্তৃত্বে যদি তেল-গ্যাস-কয়লা সম্পদ থাকে এবং নিজেদের জাতীয় সক্ষমতা তৈরির ব্যবস্থা যদি করা যায়, তাহলে বাংলাদেশের জন্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের পথ বের করা ঠিকই সম্ভব হবে। কিন্তু এজন্য দরকার স্থলভাগ ও বঙ্গোপসাগরের গ্যাসসম্পদ, কয়লা ও বিদ্যুত্ নিয়ে জাতীয় স্বার্থবিরোধী তত্পরতা ও চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ। আর ভবিষ্যত্ প্রজন্মও যে এ সম্পদের মালিক, সেটাও মনে রাখতে হবে। ঘাড় থেকে দুর্বৃত্ত না সরালে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হবে না।
সেজন্য প্রতারক কোম্পানি বহিষ্কারসহ ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নই সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের নিশানা দিতে পারে। ফুলবাড়ীর মানুষ রক্ত দিয়ে এ বার্তাই দিয়ে গেছেন যে, জনগণের সম্পদ জনগণের মালিকানায়, দেশ ও জনগণের প্রয়োজনে শতভাগ ব্যবহার হতে হবে। দুর্বৃত্ত লুটেরাদের লুট আর পাচারের কোনো প্রকল্প মানুষ গ্রহণ করবে না। এ বার্তা শুধু বাংলাদেশকে নয়, সারা বিশ্বের মানুষকেই অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা রাখে।
(২৬ আগষ্ট, ২০১৫ তারিখে বণিক বার্তায় প্রকাশিত)