ফুলবাড়ী গণঅভ্যুত্থান :: উন্নয়নের মালিকানা

obvutthan২৬ আগষ্ট ঐতিহাসিক ফুলবাড়ী গণঅভ্যুত্থানের আটবছর পূর্তি হলো। এর স্মরণে এবছরও দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘ফুলবাড়ী দিবস’। ২০০৬ সালের এইদিনে পানিসম্পদ, আবাদী জমি ও মানুষ বিনাশী ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্পের বিরুদ্ধে বাঙালি আদিবাসী নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধসহ সকল মানুষের প্রতিবাদ বিশাল আকার নিয়েছিলো। লক্ষ মানুষের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণার পরও সরকারি বাহিনীর পাইকারি গুলিতে তিনজন তরুণ নিহত হন, গুলিবিদ্ধসহ আহত হন দুই শতাধিক। এরপর পুরো অঞ্চলের নারীপুরুষেরা গণঅভ্যুত্থানের এক অসাধারণ পর্ব তৈরি করেন, সারাদেশে তা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ৩০ আগষ্ট ২০০৬ সরকার জনগণের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়। সারাদেশে উন্মুক্ত খনি নিষিদ্ধ ও ভুঁইফোড় জালিয়াত কোম্পানি এশিয়া এনার্জি বহিষ্কারসহ এই চুক্তি ‘ফুলবাড়ী চুক্তি’ হিসেবে খ্যাত। এটি জনগণের সাথে রাষ্ট্রের এক অলংঘনীয় চুক্তি। গণরায় ছাড়াও এর পেছনে সবগুলো বড় রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার আছে।

ঘটনার শুরু ২০ বছর আগে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কয়লা কোম্পানি অস্ট্রেলিয়ার বিএইচপি বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ফুলবাড়ীতে কয়লা সম্পদ অনুসন্ধানের লাইসেন্স সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করে ১৯৯৪ সালের ২০ আগষ্ট। একপর্যায়ে ফুলবাড়ীতে সমৃদ্ধ কয়লা খনির অস্তিত্ব সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হয়। ১৯৯৭ সালে, রহস্যজনকভাবে গঠিত সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ নতুন এই কোম্পানি এশিয়া এনার্জির হাতে বিএইচপি তার লাইসেন্স হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। দুটো প্রশ্ন এখানে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, কেনো এরকম সমৃদ্ধ খনির অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও কয়লা খনি সম্পর্কে অভিজ্ঞ বিএইচপি বড় ব্যবসার সুযোগ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করলো? দ্বিতীয়ত, কারা ঠিক ঐসময়েই ফুলবাড়ী কয়লা খনি লক্ষ্য করে একটি নতুন কোম্পানি খুললো? কেনো বিএইচপি তার হাতেই নিজের লাইসেন্স হস্তান্তর করলো? সরকারই বা কেনো এটা অনুমোদন করলো?

প্রথম প্রশ্নটির স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি ভুতত্ত্ববিদ নজরুল ইসলামের কাছ থেকে, যিনি বিএইচপির কনসালট্যান্ট জিওলজিস্ট হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। বাংলাদেশে এই কোম্পানির আসার ব্যাপারে যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেছিলেন। ২০০৮ সালের জুন মাসে সিডনীতে তাঁর সাথে আমার দেখা হলে তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের কথা ভেবেই বিএইচপিকে নিয়ে গিয়েছিলাম দেশে। কিন্তু এখন এশিয়া এনার্জির প্রকল্প দেখে আমি আতংকিত। এটা যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে বাংলাদেশের সর্বনাশ হবে এবং আমি নিজেকে কোনদিন ক্ষমা করতে পারবো না’। কেনো বিএইচপি চলে গেলো সেটা তিনি খুব ভালো করেই জানেন, এনিয়ে তিনি লিখেছেন (নিউএজ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮; ডেইলি স্টার ৩০ মে ২০১০)।

নজরুল ইসলামের বক্তব্যের সারকথা হল, ‘উন্মুক্ত খনি বিএইচপির জন্য নিশ্চয়ই অনেক লাভজনক হতো। কিন্তু তার জন্য যে গভীরতায় কয়লা স্তর থাকা দরকার ফুলবাড়ীর কয়লা তার চাইতে অনেক গভীরে, ১৫০ থেকে ২৬০ মিটার। বিএইচপি খুব ভালো করেই জানতো, এরকম গভীরতায় উন্মুক্ত খনি করতে গেলে ভূতাত্ত্বিক ও কারিগরী সমস্যা মোকাবিলা ছাড়াও বহুমাত্রিক দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অসংখ্য নদীনালা খালবিল, মৌসুমী ভারী বৃষ্টি, বন্যাপ্রবণ এই অঞ্চলে অস্ট্রেলীয় মান তো দূরের কথা যেকোন দেশের বিধি রক্ষা করে উন্মুক্ত খনি পরিচালনা সম্ভব হবে না। তাছাড়া বিএইচপি চায়নি পাপুয়া নিউগিনির ওক-টেডি কপার খনির মতো আরেকটি ভয়াবহ বিপর্যয়ের দায় নিতে, যেখানে খনির বিষাক্ত পানি নিকটবর্তী নদীতে ভয়াবহ দূষণের সৃষ্টি করেছিল এবং নীচের বিশাল অঞ্চল ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল। বিএইচপিকে অল্পদিন পরেই প্রকল্প বাতিল করে ফিরে আসতে হয়েছিল এবং বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল। বাংলাদেশের পানির আধার ও অন্যসবকিছু মিলে পরিস্থিতি আরও অনেক জটিল।’ বিএইচপি তাই বুঝেশুনে আগেভাগেই বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিল।

তবে দ্বিতীয় প্রশ্ন ও রহস্যের কিনারা আজও হয়নি। বিএইচপির মতো অভিজ্ঞ সংস্থা যা সাহস করেনি, তা করবার কথা বলে নতুন একটি কোম্পানি কীভাবে লাইসেন্স পেয়ে গেলো? পরিবেশগত সমীক্ষা করবার আগেই তারা ছাড়পত্রও পেল! পরে তাদের করা সমীক্ষা আর পুনর্বাসন পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করেছেন স্বাধীন আন্তর্জাতিক খনি বিশেষজ্ঞ রজার মুডি ও পুনর্বাসন বিশেষজ্ঞ জেনিফার কেলাফাত। অসঙ্গতি, অস্বচ্ছতা আর প্রতারণার দৃষ্টান্ত তাঁরা হাজির করেছেন পাতায় পাতায় (২০০৮)। এর আগে এশিয়া এনার্জি জমাকৃত ‘খনি উন্নয়ন পরিকল্পনা’ পরীক্ষা করে মতামত দেবার জন্য সরকার বুয়েটের অধ্যাপক ড. নূরুল ইসলামকে প্রধান করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেন। কমিটি তাঁদের রিপোর্টে এই প্রকল্প অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও আইনগত বিবেচনায় অগ্রহণযোগ্য বলে সিদ্ধান্ত দেন (বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট, সেপ্টেম্বর ২০০৬)। পরবর্তী সময়ে পাটোয়ারী কমিটি (২০০৭-৮) ও মোশাররফ কমিটি (২০১১-১২)ও এই প্রকল্পের বিরুদ্ধেই মত দিয়েছে। কিন্তু কোনো সরকারই এবিষয়ে আর কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি। অন্যদিকে নানারকম গোপন, অস্বচ্ছ ও দুর্নীতিমূলক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

ঘটনাবলী যেভাবে অগ্রসর হচ্ছিলো তাতে জনগণ যদি নিষ্ক্রিয় থাকতেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়ে ফুলবাড়ী ও বড়পুকুরিয়া দুক্ষেত্রেই উন্মুক্ত খনি হতো। এমনিতেই উত্তরবঙ্গের বহুস্থানে এখন পানির সংকট, এতদিনে তা হাহাকার পর্যায়ে যেতো। বহু নদীনালা খালবিলের দশা বুড়িগঙ্গার চাইতে ভয়াবহ হতো। খনি ও পাশ্ববর্তী অঞ্চলের আবাদী জমি নষ্ট ও অনাবাদী হবার কারণে খাদ্য উৎপাদনে ভয়াবহ নিম্নগতি সৃষ্টি হতো। জীবিকা ও ঘরবাড়ি হারিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ নতুন করে ঢাকার রাস্তায় আশ্রয় নিতেন।

এসব ধ্বংসযজ্ঞের কথা জেনেও অনেকে বাগবিস্তার করতে পারেন, ‘আমরা তো কয়লা পাচ্ছিলাম, আমাদের বিদ্যুৎ দরকার!!’ না, পরিকল্পনা যা ছিল তাতে কয়লা সম্পদও পাওয়া যেতো না। কারণ বাংলাদেশ শুধু ৬ ভাগ রয়ালটি পেতো, তাও রেলওয়ে উন্নয়ন করে এই কয়লা রফতানির ব্যবস্থা করতে সেখান থেকেই ব্যয় করতে হতো। কয়লা রফতানির আয় পুরোটাই, মালিকানা ও শর্তের কারণে, কোম্পানির বিদেশি কোন একাউন্টে জমা হতো। শতকরা ৮০ ভাগ রফতানির পর বাকিটা আন্তর্জাতিক দামে কিনতে হতো। আবাদী জমি, মাটির ওপরের ও নীচের পানি সম্পদ, বসতভিটা সবকিছু ধ্বংস করে লক্ষ লক্ষ মানুষকে উদ্বাস্তু করে, উত্তরবঙ্গকে অনুর্বর বিরানভূমিতে পরিণত করে, দেশের কয়লা সম্পদ দ্রুত বিদেশে পাচারের এই প্রকল্পই ‘উন্নয়ন’ নামে চালু করবার চেষ্টা হয়েছিল। আমাদের ভয়াবহ সর্বনাশের হাত থেকে রক্ষা করেছেন মানুষ, তাদের জীবন দিয়ে।

২০০৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ফুলবাড়ীসহ ৬ থানার মানুষদের অভিনন্দন জানিয়ে ‘ফুলবাড়ী চুক্তি’র প্রতি পূর্ণ সংহতি জানিয়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিলম্বে সেই চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছিলেন। অঙ্গীকার করেছিলেন ক্ষমতায় গেলে তা বাস্তবায়ন করবেন। চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিএনপি (৪ দলীয় জোট) এবং প্রকাশ্য অঙ্গীকারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এই চুক্তি বাস্তবায়নে দায়বদ্ধ। এর অন্যথা করার কোনো পথ নেই। উপরন্তু এর পেছনে আছে গণরায় ও বিশেষজ্ঞদের সিদ্ধান্ত।

কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের দুই মেয়াদে প্রায় ছয় বছর পার হলেও এখনও সেই চুক্তির মূলধারাগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি। বরং সর্বনাশা প্রকল্পের পক্ষে সরকারের ভেতর থেকেই নানা অপতৎপরতা চলছে। কোন বৈধ অনুমোদন না পেলেও ফুলবাড়ীর কয়লা খনির ওপর লন্ডনে এখনও শেয়ার ব্যবসা করছে এশিয়া এনার্জি (জিসিএম)। এটা খুব বিস্ময়কর যে, দেশে সরকার থাকতে কী করে একটি বিদেশি কোম্পানি দেশের সম্পদ নিয়ে বিদেশে অবৈধভাবে শেয়ারব্যবসা করতে পারে? দেখা যাচ্ছে, শেয়ার ব্যবসার মুনাফার একাংশ ছড়িয়ে দেশে সমর্থক গোষ্ঠী তৈরির চেষ্টা চলছে। এই অর্থ দিয়েই কোম্পানিমুখি কিছু ব্যক্তিবর্গ নিয়ে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, টকশো, বিজ্ঞাপন, বিদেশ সফর ইত্যাদি আয়োজন করা হচ্ছে। সম্প্রতি বড়পুকুরিয়ায় উন্মুক্ত খনি করবার পক্ষে মুখচেনা কতিপয় ব্যক্তির প্রচারণা এই দুর্নীতিগ্রস্ত ভাড়াটে বিবেকহীন অপতৎপরতার অংশ। ‘নয়াউদারনৈতিক’ এই কালে বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করে ফরাসী সমাজতাত্ত্বিক দার্শনিক পিয়েরে বুর্দো এই ধরনের ’বিশেষজ্ঞ’, মিডিয়া প্রচারক ও পরামর্শকদের সঠিকভাবেই জনশত্রু হিসেবে অভিহিত করেছেন।

বিদ্যুতের কথা বলেই এসব সর্বনাশা প্রকল্প জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করবার চেষ্টা চলে। প্রকৃতপক্ষে তেল গ্যাস ও কয়লা সম্পদের ওপর শতভাগ মালিকানা, রফতানি নিষিদ্ধ ও জাতীয় সক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে তার বাস্তবায়ন করলে স্বল্প দামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যোগান ও জ্বালানী নিরাপত্তা খুবই সম্ভব। অনেক সম্পদ সমৃদ্ধ দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রমাণিত হয়েছে, রাষ্ট্রীয় নীতি ও সম্পদের ওপর দেশি বিদেশি লুটেরা গোষ্ঠীর কর্তৃত্ব থাকলে এটা কখনোই সম্ভব নয়। নিজেদের কর্তৃত্বে যদি কয়লা সম্পদ থাকে এবং নিজেদের জাতীয় সক্ষমতা তৈরির ব্যবস্থা যদি করা যায় তাহলে উন্নততর নিরাপদ পদ্ধতি আমরা নিশ্চয়ই কাজে লাগাতে পারবো। কিন্তু যদি ভুল নীতি ও দুর্নীতির জন্য পুরো দেশকে ধ্বংসযজ্ঞ বানিয়ে কয়লা সম্পদ পাচার হয়ে যায় তাহলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশকে আমরা কীভাবে কাজে লাগাবো? তাছাড়া সমুদ্রের বিশাল গ্যাসসম্পদ বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিয়ে, সৌর-বায়ু-বর্জ্য সম্পদ অব্যবহৃত রেখে বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের জন্য মাটি-পানিসম্পদ বিনাশ করে কয়লা উত্তোলনের যুক্তি প্রতারণা ছাড়া আর কী?

২০০৬ সালের ২৬ আগষ্ট ফুলবাড়ীতে যে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিলো তা শুধু লুটেরাদের হাত থেকে কয়লা, পানিসম্পদ, আবাদী জমি ও জনবসতি রক্ষার লড়াই ছিলো না, তা একইসঙ্গে প্রচলিত উন্নয়ন দর্শন নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করেছে, নতুন উন্নয়নের মালিকানা দাবি করেছে। এই আন্দোলন দুর্নীতি, গোপনীয়তা, জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তির বিপরীতে জনগণের সম্পদের ওপর জনগণের মালিকানা, জাতীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় সক্ষমতা বিকাশের তাগিদ উপস্থিত করেছে। সরকার যখন জনগণের সম্পদ ও স্বার্থ রক্ষার বিপরীতে অবস্থান নেয়, যখন ধ্বংস আর লুন্ঠনকে উন্নয়নের নামে ফেরী করতে চায়, তখন জনগণকেই সজাগ সক্রিয় পাহারাদারের ভূমিকা নিতে হয়। বাংলাদেশের জনগণ বারবার এই ভূমিকা নিয়েছেন বলেই বাংলাদেশ নিয়ে উজ্জল ভবিষ্যতের স্বপ্ন আমরা এখনও দেখতে পারি। জীবন ও উন্নয়নের ওপর জনগণের মালিকানার দাবি নিয়ে ফুলবাড়ী গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের মানুষকে সাহস ও শক্তি জোগাতে পারে সেকারণেই।।

(আগস্ট ২৭, ২০১৪ আমাদের বুধবারে প্রকাশিত)