পাটশিল্পে লোকসানের সব কারণ অব্যাহত রেখে রুগ্ণ অবস্থা বাড়ানো হয়েছে। এক পর্যায়ে মজুরি দেওয়া বন্ধ, লে-অফ ঘোষণা, হুমকি ইত্যাদির মধ্য দিয়ে একের পর এক পাটকলগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এই ধারাতেই ২০০২ সালের ৩০ জুন আদমজী বন্ধ হয়েছে। খুলনা-যশোর অঞ্চলেও একই প্রক্রিয়া চলল। একদিকে যখন লাখো মানুষ কাজ থেকে ছিটকে পড়েছে, তখন প্রশংসার ঝর্ণা বইতে থাকল অন্যদিকে। ১৬ জুলাই ২০০২ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের জন্য বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিকো নিশিমিজু বিদেশ থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে লিখে জানালেন, ‘যখন আমি আদমজী পাটকল বন্ধ করার ব্যাপারে আপনার সিদ্ধান্তের কথা জানলাম, তখন আমি সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য আপনার সাহস ও দৃঢ়তা দেখে অভিভূত হয়েছি।’ মার্কিন প্রশাসন থেকেও এলো প্রশংসার বাণী। এত প্রশংসা এর আগে আর কোনো কাজ করে আর কোনো সরকার পায়নি। তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ, জামায়াতের নিজামী, জাতীয় পার্টির এরশাদ- সবাই প্রশংসা করলেন। এই এরশাদের কালে তার জনসভাতে স্বতঃস্ম্ফূর্তভাবে মানুষ আসত না। যাদের ধরে নিয়ে আসা হতো তাদের একটি বড় অংশ ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার শ্রমিক। তাদের বেতন যেত কারখানার তহবিল থেকে, কাজের সময় কাটত এরশাদের সেবায়। লোকসানের ভার সব পড়ত পাটকলের ঘাড়ে। বিশ্বব্যাংকওয়ালারা কখনও এগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি।
একই ধারায় আরও কারখানা বন্ধ হতে থাকে। ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই খুলনার খালিশপুরের পিপলস জুট মিল কর্তৃপক্ষ ‘মিল বন্ধের বিজ্ঞপ্তি’ শিরোনামে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। এর আগে ১৮ জুলাই ডাকযোগে বিজেএমসির সচিব স্বাক্ষরিত (১৬.৭.৭) যে চিঠিটি এসব মিলে পাঠানো হয়, সেটি হুবহু উপস্থিত করা হলো :গত ৩.৬.৭ ইং অনুষ্ঠিত বিজেএমসির পরিচালকমণ্ডলীর ১৮৩,০৩/০৬-০৭নং সভায় কর্ণফুলী জুট মিল লি. (উ.চ.ঋসহ) এফকেসি এবং কওমী ও পিপলস্ জুট মিলস লি.-এর অবস্থা, শ্রমিক পরিস্থিতি, কাঁচা পাটের অভাব, তীব্র অর্থ সংকট ও উৎপাদন ঘাটতি, অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ ইত্যাদি কারণে পারফরম্যান্স সন্তোষজনক পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে না মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় এই ৪টি মিল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২. বিজেএমসির সংস্কার পরিকল্পনা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গত ১৪.৭.০৭ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় বর্ণিত মিল ৪টি বন্ধের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং আগামী ৩১ জুলাই ২০০৭ দিবসান্তে মিল ৪টি বন্ধ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় সদয় নির্দেশনা প্রদান করেন। ৩. এমতাবস্থায় উপরোক্ত বোর্ড সিদ্ধান্ত ও প্রধান
উপদেষ্টার সদয় নির্দেশনার আলোকে কর্ণফুলী, (উ.চ.ঋসহ) এফকেসিএফ, কওমী ও পিপলস জুট মিল লি. ৩১/০৭/০৭ দিবসান্তে বন্ধ ঘোষণা করার সদয় অনুমতি প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
পাটশিল্পের ওঠানামার ভিন্নচিত্র :পাটশিল্পের এই দৃশ্যপট তো সর্বত্র নয়। ভারতে আমরা একই সময়ে দেখছি সর্বাত্মক উদ্যোগের মাধ্যমে পাটশিল্পের নতুন যাত্রা। ভারতে দুর্বল পাটকলগুলোকে চাঙ্গা করার জন্য দ্য জুট কোম্পানিজ (ন্যাশনালাইজেশন) অ্যাক্ট, ১৯৮০ প্রবর্তন করা হয়। শুধু পাটশিল্প নয়; শিল্প রক্ষা ও বিকাশের জন্য এখানে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই নীতিতেই ভারতের জাতীয় পাটনীতি ঘোষিত হয় ২০০৫ সালের শেষে। এই নীতিতে ৩৫ বছরের ভারতীয় পাট সংস্থার পুনর্বিন্যাস করা হয়। একই সালে সমগ্র বকেয়া ঋণ (১৯৫.৬৮ কোটি রুপি), সুদ (৩১৭.৯৭ কোটি রুপি) মওকুফ করা হয়। ভর্তুকি অব্যাহত থাকে।
বাংলাদেশে আদমজী পাটকল বন্ধের ৮ দিন পর ভারতীয় পাটশিল্প আধুনিকীকরণের নতুন যাত্রা শুরু হয। এই দিন থেকে নতুনভাবে কর্মসূচি নেওয়া হয় পাটকলগুলো মেশিনপত্র নবায়ন, রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি প্রদানের। ২০০৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের বস্ত্র মন্ত্রণালয় খাদ্যশস্য ও চিনির বস্তা হিসেবে যথাক্রমে ১০০ ও ৯০ শতাংশ পাটব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৮৭ সালে পাটজাত বস্তা ব্যবহার কমানোর সিদ্ধান্ত পুরোপুরি পাল্টে এভাবেই নতুন জীবন লাভ করে পাটশিল্প। ভারতের পূর্বাঞ্চলে এর গুরুত্ব বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখানে ২.৭৬ লাখ পাট শ্রমিক (এক লাখ স্থায়ী), ৪০ লাখ কৃষক এবং সম্পর্কিত তৎপরতায় আরও ১.৪ লাখ মানুষ যুক্ত; সেই বিবেচনায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতে এখন ৭৮টি পাটকল। এর মধ্যে ৬১টি পশ্চিমবঙ্গে। বিহার ও উত্তরপ্রদেশে তিনটি করে, অল্প্রব্দপ্রদেশে ৭টি এবং আসাম, ওডিশা, ত্রিপুরা ও মধ্যপ্রদেশে একটি করে।
২০০৫-এর ভারতের পাটনীতি পাট গবেষণা ও উন্নয়ন, প্রযুক্তি, অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন নির্দিষ্ট করে। লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় রফতানি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি, থোক বরাদ্দ, রফতানি থেকে শুল্ক্ক ও অশুল্ক্ক প্রতিবন্ধকতা দূর করা। উৎপাদন বৈচিত্র্যকরণ বিষয়েও দৃষ্টি দেওয়া হয়। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে বিকশিত করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশের পাটশিল্পের পতন : বাংলাদেশে পাটশিল্প খাতে যেভাবে সংকোচন নীতি বাস্তবায়ন হচ্ছে, তা যদি চলতেই থাকে, তাহলে এ প্রশ্ন উঠতেই পারে- বাংলাদেশ কি আবার কাঁচাপাট রফতানিকারকের পুরনো অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে? সে ক্ষেত্রেও বাধাবিঘ্ন কম নয়। ভারতেই কাঁচাপাট রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। ইদানীং ভারত বাংলাদেশের পাট রফতানির ওপর শুল্ক্ক-অশুল্ক্ক প্রতিবন্ধকতা জারি করায় সে ক্ষেত্রে সংকট দেখা দিয়েছে। পাটচাষের জমিও ক্রমে অকৃষি খাতে যাচ্ছে। চালের দাম বাড়ার অজুহাতে চালের বস্তা হিসেবে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের আইনি বাধ্যবাধকতা স্থগিত করা হয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকলগুলোর জমি বিভিন্ন প্রভাবশালী গোষ্ঠীর মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দেওয়ার তৎপরতা চলছে। নিচের ছকে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের পাটশিল্পের উদ্ভব, বিকাশ ও সংকোচনের চিত্র তুলে ধরা হলো।
বাংলাদেশের পাটশিল্প, উত্থান ও পতন :৫০ দশকের পূর্বে কাঁচাপাট উৎপাদন ও কলকাতাকেন্দ্রিক শিল্পে জোগান। ৫০ দশকে উৎকৃষ্টমানের পাটের প্রাপ্যতার কারণে রাষ্ট্রীয় সমর্থন ও ভর্তুকিতে পাটশিল্প প্রতিষ্ঠা; কোরীয় যুদ্ধের কারণে পাটজাত দ্রব্যের আন্তর্জাতিক চাহিদা বৃদ্ধি ও বাজারপ্রাপ্তি।
৬০ দশকে রাষ্ট্রীয় সমর্থন ও ভর্তুকিতে শিল্পের প্রসার; বোনাস ভাউচার স্কিমের কার্যকর ভূমিকা; পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানি পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠা।
৭০ দশকে পরিত্যক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয়করণ কর্মসূচির অধীনে পাটকলও রাষ্ট্রীয়করণ। বিজেএমসি প্রতিষ্ঠা। পরিকল্পনা ও মনোযোগের অভাব, দুর্বল ব্যবস্থাপনা। দুর্নীতির মাধ্যমে নব্য ধনিক শ্রেণির গঠনকাল, শিকার- রাষ্ট্রায়ত্ত খাত; রাষ্ট্রীয় সমর্থন ও ভর্তুকির পুরনো নিয়ম প্রত্যাহার; নতুন মাত্রায় লোকসান শুরু।
৮০ দশকে বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠীর কাঠামোগত সমন্বয় কর্মসূচি। পরিকল্পিতভাবে বিরাষ্ট্রীয়করণ শুরু; পাটকল শ্রমিকদের সরকারি দলের জমায়েতে ব্যবহার; শ্রমিক নেতা নামে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের আধিপত্য; পাটক্রয়ে সময়মতো বরাদ্দ না দেওয়ার রীতি শুরু; লোকসান বৃদ্ধি।
৯০ দশকে পাট খাত উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের ২০০০ কোটি টাকা ঋণ; শর্ত অনুযায়ী পাটকল বন্ধ, বিরাষ্ট্রীয়করণ, তাঁতের সংখ্যা হ্রাস, শ্রমিক ছাঁটাই শুরু; বিদ্যুৎ সমস্যা, পাটকল ক্রয়ে বরাদ্দ না দেওয়া অব্যাহত; রাষ্ট্রায়ত্ত পাটশিল্প অধিকতর সংকোচন; লোকসান বৃদ্ধি।
২০০০ পরবর্তী সময়ে : সরকার কর্তৃক বিশ্বের বৃহত্তম পাটকল বন্ধ ঘোষণা (২০০২)। বিশ্বব্যাংক, মার্কিন দূতাবাস ও বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর অভিনন্দন; পাটনীতি ঘোষণা (২০০২); সময়মতো পাট ক্রয় বরাদ্দে অর্থ প্রদান না করা অব্যাহত; পাটজাত দ্রব্যের রফতানি অনুপাত হ্রাস; দিনমজুরিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করে বেসরকারি পাটকল প্রতিষ্ঠা সত্ত্বেও শিল্পের অভূতপূর্ব সংকোচন; ভারতে পাটনীতি (২০০৫)। পাটশিল্পের নতুন বিকাশ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন; বাংলাদেশে শ্রমিক ছাঁটাই ও পাটকল বন্ধের নতুন কর্মসূচি শুরু (২০০৭)।
২০০৭-পরবর্তী সময়ে : কাঁচাপাট উৎপাদন ও ভারতকেন্দ্রিক পাটশিল্পে কাঁচাপাট জোগানের অবস্থায় প্রত্যাবর্তন।
২০০৯-পরবর্তী সময়ে : পাটের জিনোম আবিস্কার। বহু প্রতিশ্রুতি কিন্তু পরিস্থিতি অপরিবর্তিত।
তুলনামূলক সুবিধা ও সম্ভাবনা :পাট ও পাটশিল্পে বাংলাদেশের তুলনামূলক সুবিধার ক্ষেত্র বহুবিধ। আবার এর গুরুত্ব এই দেশের অর্থনীতির একটি শক্ত মাজা দাঁড় করানোর জন্য অপরিহার্য। পাটকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে এক বিশাল শিল্প বিপ্লব করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পাট ও পাটশিল্প এখন সংকটজীর্ণ অবস্থায়। তুলনামূলক সুবিধার দিকগুলো সংক্ষেপে বলা যায়- উৎকৃষ্টমানের পাট উৎপাদনের উপযোগী মাটি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ; ৫ দশকে গড়ে ওঠা অভিজ্ঞ ও দক্ষ শ্রমশক্তি; আন্তর্জাতিক বাজারে পাটজাত দ্রব্যের প্রতি আগ্রহ, পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি। অভ্যন্তরীণ বাজারেও এর বিস্তারের অসীম সম্ভাবনা; পরিবেশ অনুকূল হওয়ায় বর্তমান বিশ্বে এর বিকাশের সামাজিক ব্যয়, পরিবেশগত ব্যয় শূন্য; পাট রফতানিতে বিদেশি মুদ্রা ১০০ শতাংশ, যেখানে গার্মেন্টসে তা ৫০-৬০ শতাংশ; চিংড়ি মাছে যা পরিবেশ ও সামাজিক উচ্চ ক্ষতির কারণ; পাট একসঙ্গে কৃষি ও শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকায় দুই খাতের বিকাশই এর ওপর নির্ভরশীল; পাট ও পাটজাত দ্রব্য দুই ক্ষেত্রেই বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ; পাট বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত।
যেখানে পাট ও পাটশিল্প বিকাশে বাংলাদেশের অনেক অনুকূল উপাদান বিদ্যমান, যেখানে পরিবেশ অনুকূল বলে পাটজাত দ্রব্যের ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে, সেখানে এ শিল্পের বিকাশে কোনো সমন্বিত উদ্যোগ না নিয়ে ক্রমাগত কারখানা বন্ধ ও শ্রমিক ছাঁটাই কাজে বিভিন্ন সরকারের একনিষ্ঠ তৎপরতার এই পুরো অবিশ্বাস্য চিত্রটি বুঝতে গেলে আমাদের প্রতিষ্ঠিত উন্নয়ন দর্শন এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন কৌশলে বাংলাদেশের অবস্থানের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। পাটশিল্প বিনাশমুখী সরকারের এই সক্রিয়তা তৈরি হয়েছে- প্রথমত, এ দেশের বিভিন্ন সময়ের শাসকগোষ্ঠীর লুটেরা ভূমিকা এবং দ্বিতীয়ত, তার ওপর ভর করে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের প্রথমে কাঠামোগত সমন্বয় কর্মসূচি (কাসাক) ও পরে পাটশিল্পের জন্য বিশ্বব্যাংকের নির্দিষ্ট ধ্বংসাত্মক ‘উন্নয়ন’ কর্মসূচি থেকে। ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর লোভ পাটকলগুলোর জমির দিকে। উন্নয়নের নামে বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠী বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে কীভাবে সর্বনাশা জাল বিস্তার করে এবং বৃহৎ রাজনৈতিক দল, কনসালট্যান্ট, আমলা সহযোগে তার নকশা বাস্তবায়ন করে তার নির্মম দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের পাটশিল্প। এ চক্র থেকে বের হতে পারলে পাটকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশ পরিবেশসম্মত শিল্পায়নের উজ্জ্বল অধ্যায় নির্মাণ করতে সক্ষম হবে।