দুনিয়া এখন থেমে আছে। চোখে দেখা যায় না এ রকম ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র করোনাভাইরাস দুনিয়াকে একদিকে থামিয়ে দিয়েছে; অন্যদিকে তার চেহারা উদাম করে দিয়েছে। এ রকম সময় মাঝেমধ্যে আসে, যখন সবকিছু উদাম হয়ে যায়। ট্রিলিয়ন ডলারের যুদ্ধ অর্থনীতি, ডিজিটাল প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মুহূর্তে লাখো মানুষ হত্যার সরঞ্জাম সবকিছু নিয়ে বিশ্ব এখন করোনাভাইরাসের কাছে পুরোই অসহায়। বর্তমান বিশ্ব (অ)ব্যবস্থা মানুষ খুন করতে, পরিবেশ বিনাশ করতে, যত সম্পদ দরকার দিতে রাজি, মানুষের নিরাপত্তার জন্য তার কোনো মাথাব্যথা নেই, এ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিও তুলনায় দুর্বল। সর্বজনের চিকিৎসা অবকাঠামো পুঁজির আঘাতে বহু জায়গাতেই বিপর্যস্ত। ব্রিটেনকে এখন তাই আড়াই লাখ স্বেচ্ছাসেবক ডাকতে হচ্ছে। বাংলাদেশে তো এই ব্যবস্থা দাঁড়ায়নি। বাণিজ্যিকীকরণে সর্বজনের চিকিৎসা ব্যবস্থা কোণঠাসা। পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থার নেতা যুক্তরাষ্ট্রের মতো সম্পদশালী দেশ সারা দুনিয়ায় সামরিক ঘাঁটি চালাচ্ছে, নিজ দেশে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই।
বিভিন্ন রাষ্ট্রের চেহারা তাই আরও খোলসা হচ্ছে এই সময়ে। কোন রাষ্ট্র এই সুযোগে আরও নজরদারি বাড়াচ্ছে, বল প্রয়োগের সংস্থাগুলো গোছাচ্ছে, কোন রাষ্ট্র বৃহৎ ব্যবসায়ীদের বৃহৎ সুবিধা দিতে কিছু রাখছে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য, কোন রাষ্ট্র নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানে সাধ্যমতো মনোযোগ দিচ্ছে, কোন রাষ্ট্র আগে থেকেই নাগরিকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ায় এখন নির্ভার হয়ে অন্য দেশের মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাও পরিস্কার হচ্ছে।
লেখক, গবেষক, সংগঠক নাওমি ক্লেইন কয়েক বছর আগে একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন বিশ্ব পুঁজিবাদী ব্যবস্থা নিয়ে। এর নাম ছিল ‘ডিজাস্টার ক্যাপিটালিজম’। অজানা বিপদ করোনাভাইরাস সারাবিশ্বকে অভূতপূর্ব মাত্রায় অস্থির করে তোলার পর লিখেছেন- ‘ফ্রম ডিজাস্টার ক্যাপিটালিজম’ টু ‘করোনাভাইরাস ক্যাপিটালিজম’। আসলে এই দুই-ই গভীরভাবে সম্পর্কিত বর্তমান উন্নয়ন ধারার সঙ্গে।
বিশ্বে প্রতি বছর সমরাস্ত্র ক্রয়, তার গবেষণা, নজরদারি ইত্যাদিতে ব্যয় হয় প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার (এক হাজার বিলিয়ন, ১ বিলিয়ন মানে ১শ’ কোটি) বা প্রায় ৮৬ লাখ কোটি টাকা। এই পরিমাণ বাংলাদেশের বর্তমান বাজেট অনুযায়ী ১৮ বছরের বাজেটের সমান। এর একশ’ ভাগের একভাগ খরচ করলে সারাবিশ্বের মানুষ বিশুদ্ধ নিরাপদ পানি পেতে পারে। কিন্তু মানুষ হত্যা, পরিবেশ বিনাশে যত সম্পদ ব্যয় হয় মানুষ বাঁচাতে তার এক কণাও পাওয়া যায় না। সে জন্য চিকিৎসা গবেষণাতেও খুবই অপ্রতুল বরাদ্দ। জানা অসুখ নিয়ে গবেষণাও যথেষ্ট নয়। সমরাস্ত্র খাতে যে অর্থ ব্যয় হয়, তার একাংশ যায় পারমাণবিক, জৈব-রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে গবেষণায়। সেগুলো বিভিন্ন প্রাণী, সমুদ্র, বায়ুমণ্ডলে কী বিষ তৈরি করে, তা অনুমান করা শক্ত নয়। শুধু তাই নয়, বর্তমান প্রবৃদ্ধিমুখী উন্নয়ন, ভোগ তৈরি করে ভয়ংকর বর্জ্যের পাহাড়, যা উৎস হয়ে থাকে বহুরকম রোগের। রাষ্ট্রীয় সীমানা দিয়ে তা ঠেকানো যায় না। সেটাই দেখাচ্ছে করোনাভাইরাস।
সমরাস্ত্র উৎপাদন, সামরিকীকরণ, যুদ্ধ ও নজরদারি একদিকে মুনাফা আর ক্ষমতার অন্যতম মাধ্যম; অন্যদিকে এগুলোই হচ্ছে বিশ্বজুড়ে সম্পদ অপচয় ও বর্জ্য উৎপাদনের সবচেয়ে বড় এবং বিধ্বংসী উৎস। পারমাণবিক বর্জ্য ভয়াবহ বর্জ্যের পাহাড় তৈরি করছে বিশ্বে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ, পারমাণবিক বোমা, ইউরেনিয়াম খনি উত্তোলন, এসব কেন্দ্র করে সামরিক বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে যে বর্জ্য উৎপাদিত হয়, তা বিপজ্জনক মাত্রায় পানি, মাটিসহ পরিবেশকে সমাধান অযোগ্য মাত্রায় নষ্ট করছে। এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অপরাধী হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সরকারি হিসাবেই সেখানে কোটি কোটি টন রেডিওঅ্যাকটিভ বর্জ্য, ব্যবহূত পারমাণবিক জ্বালানি মজুদ হয়ে আছে। বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক বর্জ্য কীভাবে নিরাপদ ব্যবস্থাপনায় রাখা যাবে কিংবা এগুলোর বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, তার কোনো সন্তোষজনক সমাধান এখনও পাওয়া যায়নি। জৈব-রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে গবেষণার প্রতিযোগিতা বাড়ছে, তা থেকে দেশে দেশে তৈরি হচ্ছে একেকটি ভয়ংকর বিপদের মজুদ। আর এসব ক্ষেত্রে দুনিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্র, সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে মানুষ মরছে। কেননা সর্বজনের চিকিৎসা ব্যবস্থা সেখানে কোম্পানি স্বার্থ আর যুদ্ধ অর্থনীতির কাছে কোণঠাসা হয়ে গেছে।
গত কয়েক দশকে যুদ্ধসহ বর্জ্য উৎপাদনের ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হয়েছে। ১৯৫০ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিক উৎপাদন ছিল ২০ লাখ টন, ২০১৬ সাল নাগাদ তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টনে। এর মধ্যে ১৩ কোটি টন শেষ পর্যন্ত গিয়ে সমুদ্রে জমা হয়। প্লাস্টিক সামগ্রীর এই উচ্চহারে বৃদ্ধির পেছনে আছে সুপার মার্কেটে সাজানো পণ্যের প্লাস্টিক প্যাকেজিং এবং ‘ওয়ান টাইম’ সামগ্রীর অনুপাত বৃদ্ধি। এটা ধারণা করা হচ্ছে যে, এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিক উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৪০০ কোটি টন। বহু শিল্পোন্নত দেশ এখন রিসাইক্লিং বা পুনরুৎপাদনের জন্য তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য প্রান্তিক দেশগুলোতে রপ্তানি করছে। ২০১৭ সালে নিষিদ্ধ করার আগ পর্যন্ত চীনই ছিল এসব প্লাস্টিক পণ্যের প্রধান ক্রেতা। এখন এসব পণ্যের প্রধান গন্তব্য হচ্ছে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বেশিরভাগ প্লাস্টিক পণ্য নদীতে এবং সেই সূত্রে সমুদ্রে গিয়েই জমা হয়। এই চারটি দেশকেই এখন সমুদ্রে প্লাস্টিক জমার জন্য প্রথম দশটির মধ্যে গণ্য করা হয়।
এছাড়া দ্রুতগতিতে ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে প্রতি বছর প্রায় ৫ কোটি টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে তিন কোটি কম্পিউটার বাতিল করা হয়, ইউরোপে ১০ কোটি ফোন বাতিল হয়। এর ১৫-২০ শতাংশ পুনরুৎপাদনে যায়, বাকি পুরোটাই জমে মাটিতে বা পানিতে। যুক্তরাষ্ট্রের পরই চীনের স্থান। চীনে দেশের ভেতরে ই-বর্জ্য তৈরি হয় ৩০ লাখ টনেরও বেশি। এর পরিমাণ বৃদ্ধি শুধু চীন নয়, বিশ্বের প্রাণপ্রকৃতির জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। কেননা এগুলোর বিষাক্ত প্রভাব দেশের সীমানায় আটকে থাকে না।
শিল্পোন্নত দেশগুলোতে বাংলাদেশের মতো প্রাথমিক পর্যায়ের বর্জ্য নিয়ে ভয়ংকর অব্যবস্থাপনা দেখা যায় না। কিন্তু এসব দেশে পুঁজির আধিপত্যের মধ্য দিয়ে শিল্প বর্জ্য, পারমাণবিক বর্জ্য, প্লাস্টিক, ইলেকট্রনিক বর্জ্যের পাহাড় তৈরি হচ্ছে। এর বেশিরভাগই তারা বিদেশি ‘সাহায্য’ আর বিদেশি বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে স্থানান্তর করছে বাংলাদেশের মতো প্রান্তস্থ দেশগুলোতে। এসব বর্জ্য বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি উন্মাদনা তৈরিতেও সহায়তা করছে।
বাংলাদেশে উন্নয়ন যে ধারায় হচ্ছে তা অদূরদর্শী, ব্যক্তি মুনাফাকেন্দ্রিক, পরিবেশ বিধ্বংসী এবং জনস্বার্থ সম্পর্কে অন্ধ। তাই উন্নয়নের মহাসড়কের গল্প শুনতে শুনতে ক্লান্ত হলেও আমরা দেখছি- সর্বজন হাসপাতালে দুরবস্থা, সরঞ্জাম নেই, বাজেট নেই, আইসিইউ নেই। বর্তমান পর্যায়ে বাংলাদেশে শিল্পবর্জ্য ও মেডিকেলবর্জ্য প্রধান হুমকি, এর সঙ্গে প্রতিদিন যোগ হচ্ছে ভোগ্যপণ্যের বাজারের অনুষঙ্গ ক্রমবর্ধমান পরিমাণে প্লাস্টিক ও পলিথিন। এর প্রধান শিকার নদী ও জলাভূমি, সেই সঙ্গে বাতাস। গত দুই দশকে বাংলাদেশে শিল্প খাতের দ্রুত বিকাশ হয়েছে। বাংলাদেশে কমবেশি ৩০ হাজার ছোট-বড় কারখানা আছে। এসব কারখানার বেশিরভাগেই ৪০টিরও বেশি ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে। গার্মেন্টস ছাড়াও ওষুধ, রসায়ন, প্লাস্টিক, জুতা, সিমেন্ট, সিরামিকস, ইলেকট্রনিকস, খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বিনিয়োগ হয়েছে।
আমরা সবাই জানি, এসব শিল্পের অধিকাংশের বিকাশ যথাযথ নিয়ম মেনে হয়নি। কারখানা করতে গিয়ে বন উজাড় হয়েছে, জলাভূমি ভরাট হয়েছে, কারখানার বর্জ্য নিস্কাশন ব্যবস্থাও যথাযথভাবে গড়ে ওঠেনি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কারখানা বর্জ্য অবাধে নদীনালা, খাল-বিল দূষণ করছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী সবই বর্জ্যের গন্তব্য। বুড়িগঙ্গা নর্দমায় পরিণত হয়েছে, অনেক নদীও সেই পথে। শ্রমিক মজুরি, জীবন ও কাজের নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ কোনো কিছুই নূ্যনতম মানে পৌঁছাতে পারেনি। কারখানার দূষণ কমানোর জন্য অপরিহার্য ইটিপি বসানো বা চালু রাখার কোনো আগ্রহ নেই কারখানা মালিকদের। গড়ে উঠেছে অনেক অবৈধ কারখানা কিংবা বৈধ কারখানার অবৈধ তৎপরতা। আবাসিক এলাকায় মজুদ করা হচ্ছে বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্য, অবৈধভাবে চলছে প্লাস্টিক, ফ্যানসহ নানা কারখানা। দেশজুড়ে ইটভাটা, বেশিরভাগই অবৈধ। সেই সঙ্গে চলছে অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ অব্যবস্থাপনা। এগুলোর কারণে ঢাকার বাতাস এখন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দূষণের রেকর্ড করেছে। পানি ও বায়ুদূষণ এসব অনিয়ন্ত্রিত ‘উন্নয়ন’ তৎপরতার অন্যতম পরিণতি। ডেঙ্গু, শ্বাসকষ্ট, কিডনি, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র জটিলতাসহ নানা অসুখ মানুষের জীবনকে অনিশ্চিত, দুর্বিষহ করে তুলছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে মানুষের। তাই করোনা ছাড়াই দেশের অসংখ্য মানুষ অকালমৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে দিন পার করছে। সরকার এর সঙ্গে বিপুল উৎসাহে একের পর এক কয়লা আর পারমাণবিক প্রকল্প করছে, যার ভয়ংকর পরিণতি চিন্তা করাও কঠিন। প্রাথমিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ক্ষমার অযোগ্য ব্যর্থতা থাকলেও আরও ভয়াবহ বর্জ্যবান্ধব উন্নয়নের পথে যেতে তার কোনো দ্বিধা নেই।
পুঁজির গতিতে জিডিপি বাড়ছে, ধনীদের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে, জৌলুস বাড়ছে আর বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব বর্জ্যের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ছে। অপচয় আর প্রাণপ্রকৃতি মানুষ বিধ্বংসী তৎপরতা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিশ্বব্যবস্থার আসল চেহারা। জলবায়ু পরিবর্তনসহ সমুদ্র, নদী মহাবিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্জ্যবান্ধব উন্নয়নে সরকারের একগুঁয়ে উন্মাদনায় বিপদ বাড়ছে আরও বেশি।
এই থামাটা তাই অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। এই থামায় মানুষ ছাড়া দুনিয়ার আর সবাই যেন এখন স্বস্তিতে। কারণ বিশ্বের সাগর, মহাসাগর, বায়ুমণ্ডল, নদী, পাহাড় সব মুনাফার তাণ্ডবে ক্ষতবিক্ষত। কিছু লোকের অতিভোগে, লোভে আর হিংস্রতায় বিশ্ব কাতর। সামরিকীকরণ আর প্লাস্টিকের জৌলুস মানুষকে ঢেকে দিচ্ছে। শ্বাস নেওয়ার বাতাস আর পানের পানিও ঢেকে যাচ্ছে মারণাস্ত্র আর বিষে। মুনাফার পেছনে উন্মাদ হয়ে দুনিয়া যেভাবে ছুটছিল তাকে কেউ থামাতে পারেনি, এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাস থামিয়েছে। কঠিন নির্মম থামা। বিশ্ব যে অখণ্ড সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে এই বিপদ ভাইরাস। কিন্তু উন্মাদ ছোটাতে যে মানুষেরা বিপদে থাকে, থামাতেও তাদেরই বেশি ক্ষতি। এই থামা যদি দুনিয়ার গতিমুখ পরিবর্তন করতে না পারে, এরপর আরও বড় বিপদ থেকে মানুষের উদ্ধার নেই।
(০১ এপ্রিল ২০২০ তারিখে দৈনিক সমকালে প্রকাশিত)