কানেকটিভিটি: দক্ষিণ এশিয়ার নতুন বিন্যাস

downloadভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের পর ১৫ জুন ভুটানের রাজধানী থিম্ফুতে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যান চলাচলে রূপরেখা চুক্তি সই হলো। বলা হয়েছে, এ চুক্তি বাস্তবায়ন হলে দেশগুলোর মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যান চলাচল করতে পারবে। এ চুক্তি আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে বলে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী জানিয়েছেন। এ চুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন বিন্যাসকে ইদানীং বহু পক্ষের মধ্যে ‘কানেকটিভিটি’ বৃদ্ধির ঐতিহাসিক সুযোগ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। তবে এর মাধ্যমে যোগাযোগের যে ব্যবস্থা দাঁড়াচ্ছে, তা এসব দেশের জন্য একই রকম ফলাফল না আনলেও ভারতের জন্য যে এটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে, সেটি সন্দেহাতীত।

প্রকৃতপক্ষে এ চুক্তির প্রধান দিক, ভারতের এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের যোগাযোগের করিডর ব্যবস্থা। ‘কানেকটিভিটি’ বা সংযুক্ততা নামক শব্দ ব্যবহার আসলে এ বিষয়টি আড়ালের চেষ্টা, এটা বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না। যে রূপরেখা চুক্তি স্বাক্ষর হলো, তা নিয়ে আলোচনা আজকের বিষয় নয়। দুই দশক ধরে এসক্যাপ, এডিবিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। বিশ্ব বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রয়োজনে বৈশ্বিক যোগাযোগ বিস্তৃত ও অবাধ করার তাড়না থেকেই এসব বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা-গবেষণা-প্রস্তাবনা আমরা দেখছি বহু বছর। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের কাঙ্ক্ষিত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে তখন বলা হচ্ছিল ট্রানজিট।

এত বছর ধরে বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং আমলা পর্যায়ে আলোচনা চললেও যখন এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে বাস্তবায়নের মুখে, তখন বাংলাদেশের নাগরিকরা জানে না কিসের বিনিময়ে কী হচ্ছে। বাংলাদেশ একের পর এক চুক্তি স্বাক্ষর করছে, কখনো মানবিক কারণ, কখনো জরুরি প্রয়োজন, কখনো বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদি নামে ভারতের পণ্যবাহী জাহাজ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও হয়েছে। কিন্তু এ সম্পর্কে বিশদভাবে অবগত হতে পারেনি এ দেশের মানুষ। এমনকি একটি যে তথাকথিত সংসদ আছে, সেখানেও কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা জানি না, সরকারের কাছে কী কী সমীক্ষা আছে এবং এসব চুক্তির ধারা-উপধারায় বাংলাদেশের স্বার্থ কোথায় কতটা রক্ষা পাবে বা পাবে না, তাও এ দেশের নাগরিকদের অজানা।

‘কানেকটিভিটি’ নামে অনেক উচ্চকণ্ঠ বক্তব্য প্রচার করলেও বাংলাদেশের জন্য এতে নতুন কী সুযোগ তৈরি হচ্ছে? বাংলাদেশের সঙ্গে কলকাতা, আসাম, শিলিগুড়ি বা মিয়ানমারের যোগাযোগ তো এরই মধ্যে আছে। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ ও পণ্য পরিবহনে তাই নতুন কিছু যোগ করার নেই এখানে। অনেক পুরনো বিষয় নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা, যোগাযোগ বাড়ানো। কয়েক বছর আগে ভারতের সঙ্গে এ ব্যাপারে সমঝোতা হলেও নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে মাত্র ৩৪ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড পার হওয়ার পাকা বন্দোবস্ত ভারত করেনি।

বস্তুত যা নতুন এবং যা এ ‘কানেকটিভিটির’ প্রধান দিক এবং যা নিশ্চিতভাবে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে তা হলো— ভারতের এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের সরাসরি সহজ ও ব্যয়সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ যোগাযোগ ভারতের বৃহৎ পুঁজি এবং রাষ্ট্রের জন্য বহু কাঙ্ক্ষিত বিষয়। এতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চল থেকে বিপুল খনিজসম্পদ আহরণ, বাজার বিস্তার এবং সর্বোপরি ভারতের কেন্দ্রীয় শাসনের নিরাপদ ব্যবস্থা অনেকখানি নিশ্চিত হবে। এটা পেয়ে গেলে ভারতের ওইসব অঞ্চলের জনবিন্যাস, স্থানিক বিন্যাস, অর্থনৈতিক বিন্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। ভারতের এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের যোগাযোগ খরচ ও সময় আগের তুলনায় শতকরা ২০-২৫ ভাগে নেমে আসবে। সুতরাং এটা ভারতের জন্য, বৃহৎ করপোরেট গোষ্ঠীর জন্য একটি বড় ঘটনা।

কিন্তু এতে বাংলাদেশের কী লাভ কী ক্ষতি, কী সুবিধা কী অসুবিধা? আমাদের ক্ষতির চেয়ে লাভ বেশি, না লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি, তা দেশবাসীর সামনে পরিষ্কারভাবে উপস্থাপনের প্রয়োজনই সরকার বোধ করেনি। শুধু আমরা শুনছি এতে বাংলাদেশের বিপুল লাভ, কানেকটিভিটি বাড়বে, ট্রাকের চালকরা খাওয়া কিনবে, যাত্রীরা থাকবে ঘুরবে, আমাদের রাস্তা বন্দর কত কত ব্যবহারের সুযোগ পাবে, এতে অবকাঠামোর উন্নতি হবে ইত্যাদি! ভারত ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে তাদের কর্তৃত্বে, তাদের জিনিসপত্র কিনে, তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশের রেল ও সড়কপথ, বন্দর উন্নয়নের জন্য। একেই বাংলাদেশের বিরাট অর্জন বলেন অনেকে!

আমাদের সড়কপথ এরই মধ্যে অতিরিক্ত যানের ভারে ধুঁকছে। ভারতীয় যান চলাচল শুরু হলে এর ওপর চাপ কতটা বেড়ে যাবে, তার হিসাব-নিকাশ থাকা দরকার। অবকাঠামোর নতুন বিস্তার করতে কতটা কৃষিজমি, জলাশয়, অরণ্য যাবে, সেটার হিসাব জানার অধিকার জনগণের আছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে তাদের অগ্রাধিকার দিতেই হবে। সেক্ষেত্রে দেশের ভেতরের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের অবস্থা কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে যথাযথ সমীক্ষা সরকারের জন্য কঠিন ছিল না। এসব কিছুর জন্য বাংলাদেশের জনগণকেই বিভিন্নভাবে ভুগতে হবে। এর বিনিময়ে কী পরিমাণ শুল্ক পাওয়া যাবে, সেই ন্যূনতম বিষয়ও এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। সরকারের লোকজন নানা ধরনের যা খুশি তাই বলে যাচ্ছেন বিভিন্ন সময়। এর আগে মানবিক কারণের কথা বলে ভারতীয় পণ্য চলাচল হয়েছে বিনা শুল্কে। এ রকম অজুহাত আরো তৈরি হবে না ভবিষ্যতে, তার নিশ্চয়তা কে দেবে?

অনেকে এ ধরনের যোগাযোগকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুলনা করেন। প্রথমত. এ যোগাযোগ ভারত থেকে ভারতে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে এ রকম কোনো ঘটনা নেই, যেখানে এক দেশ দ্বিতীয় আরেক দেশের মধ্য দিয়ে নিজ দেশেই আবার যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত. ইউরোপের প্রতিটি দেশের সঙ্গে প্রতিটি দেশের স্বার্থ স্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে সুরক্ষিত। সব সিদ্ধান্ত ও চুক্তি বহুল আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে গৃহীত। এখানে তার কোনো লক্ষণ নেই। তৃতীয়ত. বাংলাদেশের তুলনায় ভারত যে ক্ষমতা ও সুবিধা ভোগ করে, যে ভারসাম্যহীন ক্ষমতার সম্পর্ক, সে রকম অবস্থা কোনো দুই দেশের মধ্যে সেখানে নেই। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যা ঘটছে, তা আসলে একমাত্র কিছুটা তুলনীয় হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা দিয়ে চারদিকে ঘেরাও থাকা দেশ লেসেথোর সঙ্গে। তার অভিজ্ঞতা তিক্ত।

যখন কানেকটিভিটির কথা বলে এতসব আয়োজন চলছে, তখন বাংলাদেশকে তিনদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে ডিসকানেক্ট করে রেখেছে ভারত। বাংলাদেশ যখন কাঁটাতারের বেড়ায় ঘেরা, তখন ভারতীয় পরিবহন বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে অবাধে চলাচল করবে কানেকটিভিটির সুর ধরেই! এ কাঁটাতার রেখে কীভাবে কানেকটিভিটি সম্ভব, নরেন্দ্র মোদির সফরকালে এ প্রশ্ন তোলার জন্য ন্যূনতম আত্মসম্মানবোধ বাংলাদেশের সরকার, ক্ষমতাবহির্ভূত বড় দল, খুশি খুশি সুশীল সমাজের মধ্যে দেখা গেল না। সীমান্তচুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় কাঁটাতারের বেড়া সম্পূর্ণ করা নিশ্চিত হলো। কাঁটাতারের পেছনে বড় যুক্তি, বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসী-জঙ্গির ‘অবাধ চলাচল’ ঠেকানো। বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের থেকে ভারতকে নিরাপদ করাই যদি কাঁটাতারের উদ্দেশ্য হয়, তাহলে সেই সন্ত্রাসের ভূমি দেশের মধ্য দিয়ে ভারতের পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচল কীভাবে নিরাপদ হবে? কে নিশ্চয়তা দেবে?

শুধু তাই নয়, ‘কানেকটিভিটির’ এ কালে অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীগুলোর অবাধ পানিপ্রবাহকেও ডিসকানেক্ট করা হচ্ছে। পানি মানবিকতার বা দয়াদাক্ষিণ্যের বিষয় নয়, আন্তর্জাতিক আইনস্বীকৃত অধিকার; যা থেকে দশকের পর দশক বাংলাদেশকে বঞ্চিত করছে ভারত। এবারো আমরা মোদির সফরকালে বাংলাদেশের সরকার আর সুশীল সমাজের বিপুল করতালির মধ্যে কিছু বায়বীয় প্রতিশ্রুতির কথাই শুনলাম কেবল। আত্মসম্মানবোধহীন এ ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা কাঁটাতারের বেড়ায় বন্দি থেকেও আহলাদিত, সুন্দরবন ধ্বংসে অগ্রসর হওয়ার হুঙ্কার শুনেও তারা পুলকিত!

বলা হচ্ছে, কানেকটিভিটির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে। আকার, আয়তন ও ক্ষমতা— সবদিক থেকেই ভারত অনেক বড় অর্থনীতির দেশ। এ ধরনের দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি থাকতেই পারে। সমস্যাটা বাণিজ্য ঘাটতির নয়, সমস্যা ভারসাম্যহীন প্রবেশাধিকারের। বাংলাদেশে ভারত আইনি ও বেআইনি পথে সব ধরনের পণ্য নিয়ে আসতে পারে, কিন্তু ভারতের বাজারে বাংলাদেশ যেসব পণ্য নিয়ে যেতে সক্ষম, সেগুলোর প্রবেশে নানা রকম শুল্ক-অশুল্ক বাধা তৈরি করে রাখা হয়েছে। এসব প্রতিবন্ধকতা না থাকলে বাংলাদেশের পক্ষে ভারতে রফতানি বর্তমানের দ্বিগুণ করা সম্ভব হতো। এক্ষেত্রে কোনো টেকসই পরিবর্তনের লক্ষণ চুক্তিতে নেই, ভাবভঙ্গিতেও নেই। বস্তুত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে জোরদারভাবে নিজের অধিকার দাবি করতেই দেখা যায় না। সরকার এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ নেতৃত্ব পিঠ চাপড়ানোতেই এতই কৃতার্থ থাকেন যে, বাংলাদেশের স্বার্থ নিয়ে কোনো আলোচনারই ক্ষেত্র তৈরি হয় না। আলোচনা হয় ভারতের প্রয়োজন অনুযায়ী।

একটি বিষয় ক্রমে পরিষ্কার হচ্ছে, বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ যত বাড়বে, ভারতের বৃহৎ পুঁজি বাংলাদেশে যত ভারতে রফতানিমুখী পণ্য উৎপাদন করবে, তত ভারতে রফতানির পথে বাধা কমবে, তার আগে নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সঙ্গে এ পরিস্থিতি তুলনীয়। মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বেড়েছে, কিন্তু সেসব পণ্যের উৎপাদন করছে যুক্তরাষ্ট্রেরই বৃহৎ কোম্পানিগুলো। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, বাংলাদেশের শিল্পপতি ব্যবসায়ীরা ক্রমে ভারতীয় পুঁজির কনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবেই নিজেদের সাজিয়ে নিচ্ছেন, সেভাবেই তারা সন্তুষ্ট। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্বের ভূমিকা ও তাদের কথাবার্তা থেকে তাই মনে হয়। বর্তমান গতি বলছে, বাংলাদেশের সড়ক, রেল, নৌপথসহ বাণিজ্য এবং অর্থনীতির বিষয়ে বাংলাদেশকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তৃত্ব বরণ করেই চলতে হবে। বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠী, সরকারে এবং বাইরে যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, তাতে তাদের অবস্থান একটি উপগ্রহের জায়গাতেই স্থিত হবে। দক্ষিণ এশিয়ার ভারতকেন্দ্রিক বিন্যাস আরো জোরদার হচ্ছে এর মাধ্যমে।

অভিন্ন নদী, বিশাল পানিসম্পদ, কৃষি, খনিজসম্পদ ও মানবসম্পদ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়া খুবই সমৃদ্ধ অঞ্চল। এ অঞ্চলে জনস্বার্থে সহযোগিতার পরিকল্পনা গ্রহণের মতো রাজনৈতিক অবস্থা তৈরি হলে পুরো অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য, অসম্মান, বৈষম্য ও নিপীড়নের বর্তমান অমানবিক অবস্থা থেকে বের হওয়া সম্ভব। কিন্তু করপোরেট স্বার্থ, আঞ্চলিক আধিপত্য ও বৈষম্যের দৃষ্টিভঙ্গি জনগণের এসব অভিন্ন স্বার্থকে খর্ব করছে। এখনকার কানেকটিভিটি ও নতুন বিন্যাস ভারতের বৃহৎ পুঁজির ক্রমবর্ধমান ক্ষুধা মেটানোর ব্যবস্থা করবে। কিন্তু ভারতের অভিজ্ঞতাই বলে সেখানে বিদ্যমান উন্নয়ন মডেল দারিদ্র্য, সহিংসতা, যুদ্ধ, সন্ত্রাস আর বৈষম্যের জগদ্দল পাথর থেকে জনগণকে মুক্ত করতে পারেনি। তাদের লড়াই অব্যাহত আছে নানা মাত্রায়। ভারতের মিডিয়ায় বলিউড জাঁকজমক যত প্রচারিত, এসব প্রতিরোধের খবর ততই ধামাচাপা দেয়া। বাংলাদেশের মানুষের ক্ষোভ ও স্বপ্ন, জীবন ও লড়াইয়ের খবরও ভারতে অজানা। এ দুইয়ের কানেকটিভিটি বা যুক্ততাই কেবল এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যেকার দৃশ্যমান ও অদৃশ্য কাঁটাতার ডিঙিয়ে অভিন্ন স্বার্থের সম্পর্ক তৈরি করতে পারে, দক্ষিণ এশিয়ায় মানবিক বিন্যাসের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

(২২ জুন ২০১৫ বণিকবার্তায় প্রকাশিত)