‘অভিশপ্ত সম্পদ’ মডেল ও বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা

1236812 10200878406944995 1876020418 n[প্রবন্ধটি মূলত রচিত হয়েছে প্রান্তস্থ অর্থনীতি হিসেবে এ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে বিদ্যমান মিথ ও বাস্তবতা পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে। এতে বিভিন্ন বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে আমরা দেখতে পাই— ‘সম্পদের প্রাচুর্য মানেই কোনো দেশের অবধারিত উন্নয়ন’ ধারণাটি সত্য নয়। অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে আছে প্রচুর মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ, আছে উচ্চ বিদেশী বিনিয়োগ, উচ্চহারে সম্পদ উত্তোলন ও রফতানি। অথচ ভুল নীতি, দুর্নীতিবাজ শাসক গোষ্ঠী, কতিপয় গোষ্ঠীর আধিপত্য এবং দুর্নীতিবান্ধব প্রতিষ্ঠান এ দেশগুলোকে অনুন্নয়নের ফাঁদে আটকে ফেলে দেশ ও মানুষের জীবনকে ক্রমাগত বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। ফলে তারা এখন নিজেদের সম্পদ নিজেরা কাজে লাগাতে অসমর্থই শুধু নয়, সম্পদই এখন হয়ে উঠেছে বোঝা। ‘অভিশপ্ত সম্পদ’ তত্ত্বের ধারণাটিও এসব দেশের কারণেই উদ্ভূত হয়েছে।

এ প্রবন্ধে বিভিন্ন তথ্য ও বিশ্লেষণের সমন্বয় করে দেখানো হয়েছে যে, বাংলাদেশের মতো দেশগুলো তাদের সম্পদের অপ্রতুলতা, এমনকি প্রযুক্তি ও দক্ষ জনশক্তির অভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, যদিও এ ধারণাই সাধারণভাবে প্রচারিত ও গৃহীত। বরং এসব দেশের দুর্ভোগের মূল কারণ দেশী-বিদেশী কতিপয় গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার নীতি, বৈশ্বিক গোষ্ঠীর আধিপত্য; যারা উন্নয়নের নামে ‘দুর্নীতিবান্ধব’ নীতি প্রণয়ন করে এবং এভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ থেকে বিপুল পরিমাণে ব্যক্তিগত মুনাফা লুটে নেয়।

জাতীয় সম্পদের সুপ্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জাতীয় সক্ষমতার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জরুরি পূর্বশর্ত। জ্বালানি সম্পদের ওপর জনগণের সর্বময় কর্তৃত্ব জ্বালানি নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি। কয়েকটি পর্বে প্রতি রোববার লেখাটি প্রকাশিত হবে।]

বিভিন্ন দেশের ওপর গবেষণা থেকে পরিষ্কারভাবে দেখা যায় যে, সম্পদের প্রাচুর্য সবসময় আপনা থেকেই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে না (Mehlum et al, 2005; Tsalik and Schiffrin, 2005; Sachs and Warner, 1997; Perkins, 2006). সম্পদের প্রাচুর্য সত্ত্বেও অসংখ্য দেশে সম্পদ পরিণত হয়েছে অভিশাপে। ‘অভিশপ্ত সম্পদ’ ইস্যুটি এখন একটি বাস্তব পরিহাস।

সামরিকায়ন, যুদ্ধ, সহিংসতা ইত্যাদি যে সম্পদ লুণ্ঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তা নানা তথ্যসূত্র দ্বারা প্রমাণিত। সেজন্য বহু দেশে সম্পদ উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতি, দারিদ্র্য, অসাম্য এবং দমনপীড়নও বাড়তে থাকে। (Blum, 2003; Fouskas and Gokay, 2005; Mehlum et al, 2005, Muhammad, 2007)।

এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপত্রের মাধ্যমে গৃহীত ‘উন্নয়ন’ ও ‘অর্থনৈতিক সংস্কার’-এর জন্য প্যাকেজ প্রোগ্রাম বিশ্বের প্রান্তস্থ অর্থনীতিগুলোর জন্য বিপর্যয় সৃষ্টিকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে (Stiglitz 2002; SAPRI, 2001; Muhammad, 2003)। এসব নীতি ও সংস্কার বহু দেশে আরো বেশি জ্বালানি নিরাপত্তাহীনতা ও ভঙ্গুর ‘উন্নয়ন’ তৈরি করেছে।

বিগত দশকে তেল ও খনিজ সম্পদের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধিষ্ণু অনিয়ন্ত্রিত ও ফড়িয়া বিনিয়োগের ফলে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি, তৈরি হয়েছে কৃত্রিম সংকট ও অস্থিতিশীল বাজার (the Levin-Coleman Report)।

এ নিবন্ধে জ্বালানি নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের ধারণাগত কাঠামো বিশ্লেষণের পর বিভিন্ন প্রান্তীয় অর্থনীতিগুলোর দেশের ‘অভিশপ্ত সম্পদ মডেল’-এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ঐতিহাসিক ও বৈশ্বিক ধারণার পর্যালোচনা করে বিশেষত বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

জ্বালানি ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) অভিজ্ঞতা এবং এসব সম্পদের রফতানিমুখী নীতি ও প্রচারণা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সম্পদ ও রাষ্ট্রীয় নীতির ভিত্তিতে এগুলোকে চারটি গ্রুপে ভাগ করে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

প্রবন্ধের দ্বিতীয় ভাগে বাংলাদেশের জ্বালানি সম্পদ, নীতি ও তার পরিণতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সরকারি নীতি ও পদক্ষেপের বিপরীতে সমাজের মত এবং জনগণের প্রতিরোধ অনুধাবনের জন্য তথ্য-উপাত্ত ও ঘটনাবলি পর্যালোচনা করা হয়েছে। জ্বালানি বিষয়টিকে ঘিরে জনগণের স্বার্থ ও রাষ্ট্রীয় নীতির বৈপরীত্য বিষয়-বিশ্লেষণ প্রাধান্য পেয়েছে এ লেখায়।

জ্বালানি: সম্পদ ও নিরাপত্তা

জ্বালানি নিরাপত্তা যে কোনো দেশের টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) ভাষ্য অনুযায়ী জ্বালানি নিরাপত্তা হলো, ‘পরিবেশসম্মত উপায়ে উপার্জনযোগ্য মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন প্রাপ্যতা।’ জ্বালানি নিরাপত্তা প্রশ্ন তাই প্রাথমিক সম্পদের প্রাপ্যতা ও জনগণের সামর্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা একই কারণে সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন প্রশ্নের সঙ্গেও। টেকসই উন্নয়নের জন্য তাই প্রয়োজন সম্পদের এমন ব্যবহার, যার লক্ষ্য পরিবেশকে রক্ষা করে মানুষের মানবিক প্রয়োজন মেটানো। অর্থাত্ শুধু বর্তমান প্রয়োজন নয়, ভবিষ্যত্ প্রজন্মের প্রয়োজন নিয়েও ভাবতে হবে। কেননা টেকসই উন্নয়ন হলো, ‘ভবিষ্যত্ প্রজন্মের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত না করে বর্তমানের প্রয়োজন মেটানো’ (UN, 1987)।

ন্যূনতম কাণ্ডজ্ঞান দিয়েই বোঝা যায়, জ্বালানি নিরাপত্তার প্রশ্নে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য একটি শক্তিশালী উপাদান। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নরওয়ের মতো দেশগুলো প্রাকৃতিক সম্পদে পূর্ণ এবং স্বাভাবিকভাবেই এদের জ্বালানি নিরাপত্তাহীনতার কোনো কারণ নেই। কিন্তু বিশ্ব মানচিত্রের দিকে তাকালে এর বিপরীত চিত্রটিও খুব ভালোভাবেই চোখে পড়ে। খুবই বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, সম্পদের প্রাচুর্যময় অনেক দেশই ‘দুর্নীতি-অনুন্নয়ন-দমনপীড়নের’ ফাঁদে আটকা পড়ে আছে।

একটি গবেষণায় দেখা যায়, প্রাকৃতিক সম্পদবহুল অনেক দেশের অর্থনীতির গতি অনেক সম্পদ-অপ্রতুল দেশের অর্থনীতির গতি থেকে দুর্বল। নাইজেরিয়া, সিয়েরালিওন, এঙ্গোলার মতো নিম্ন প্রবৃদ্ধিসম্পন্ন দেশগুলো প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ, অন্যদিকে ‘এশিয়ার বাঘ’ বলে পরিচিত কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং, সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য। অথচ এ দেশগুলো প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে দরিদ্র (Mehlum et al, 2005)।

সম্পদ ও উন্নয়ন: এক বিপরীত চিত্র

সম্পদ ও উন্নয়নের ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনায় রেখে সারা বিশ্বের দেশগুলোকে চারটি বর্গে ভাগ করা যায়: ক, খ, গ ও ঘ নামে এগুলোকে অভিহিত করা যায়।

ক বর্গে যে দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তার মধ্যে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি। এরা শুধু নিজের দেশের সম্পদের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে তা-ই নয়, বরং বিভিন্ন উপায়ে অন্য অনেক দেশের সম্পদের ওপরও কর্তৃত্ব আরোপ করছে। এ দেশগুলো ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার সুবিধাভোগী এবং বর্তমানেও তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। সেসঙ্গে বিশ্বের খনিজ সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করা বৃহত্ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর কেন্দ্রও এসব দেশেই। পরস্পর সম্পর্কযুক্ত অল্প কিছু বহুজাতিক কোম্পানি অসংখ্য দেশের খনিজ সম্পদের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে সেসব দেশের নিজস্ব মালিকানাই হয়ে গেছে গৌণ। এসব বহুজাতিক কোম্পানির মালিকানা ঘুরেফিরে এ কয়েকটি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যেমন কয়লার ক্ষেত্রে পৃথিবীর দুটি সর্ববৃহত্ কোম্পানি হলো— বিএইচপি বিলিটন ও রিও টিনটো। এদের যৌথ মালিকানার দেশ দেখানো হয়েছে যথাক্রমে ‘অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য’ এবং ‘যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া’।

খ বর্গে আনা যায় চীন, মালয়েশিয়া, ভারত, ব্রাজিল ও ভিয়েতনামকে। এদের রয়েছে বর্ধনশীল অর্থনীতি এবং নিজেদের সম্পদের ওপর নিজস্ব কর্তৃত্ব। খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে তারা জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে এবং সেসব প্রতিষ্ঠান আজকাল দেশের বাইরেও তাদের কার্যক্রম বিস্তার করেছে। এ দেশগুলোয় জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোই মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে এবং নীতিমালা নির্ধারণ করে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান করপোরেশন, জাতীয় অনুসন্ধান করপোরেশন, জাতীয় প্রত্যন্ত অঞ্চল জরিপ এজেন্সি, জাতীয় ভূ-সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং ভারতীয় খনি ব্যুরো, সেসঙ্গে কোল ইন্ডিয়া সে দেশের খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান, উত্তোলন ও নীতিনির্ধারণে মূল ভূমিকা পালন করে। বৈদেশিক বিনিয়োগ এক্ষেত্রে বাড়তি এবং তা কোনোভাবেই জাতীয় সংস্থার কার্যক্রমের বিকল্প নয়।

গ বর্গের দেশগুলোই ‘অভিশপ্ত সম্পদের দেশ’। এ গ্রুপে রয়েছে সুদান, নাইজেরিয়া, কলম্বিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান এবং আরো অনেক দেশ। দেশের সম্পদের ওপর নিজেদের কোনো কর্তৃত্ব নেই। অধিকাংশ দেশই শত শত বছর ধরে ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার অধীনস্থ উপনিবেশ ছিল। স্বাধীনতা লাভের পর তারা নানা বহুজাতিক কোম্পানি, পুরনো ঔপনিবেশিক কেন্দ্র দেশ এবং স্থানীয় নিপীড়ক দুর্নীতিবাজ শাসক গোষ্ঠী দ্বারা চালিত হয়েছে। যদিও এসব দেশে বিদেশী বিনিয়োগ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এখানকার বিনিয়োগের ধরন এমন যে, এটি কোনো কর্মসংস্থানও তৈরি করছে না আবার জাতীয় সক্ষমতা গড়ে তোলা বা প্রযুক্তিগত উন্নয়নকেও উত্সাহিত করছে না।

সম্পদপ্রাপ্তি ও বিনিয়োগ স্পষ্টতই সম্পদ অভিশপ্ত দেশ ও পুঁজি সংবর্ধনের কেন্দ্র দেশগুলোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে। বহুজাতিক পুঁজির স্বার্থে বিশ্বের খনিজ সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণের জন্য দশকের পর দশক ধরে ব্যাপক ধ্বংস, যুদ্ধ ও রক্তপাত দেখেছি। এর সাম্প্রতিক হিংস্রতা আমরা দেখছি বিশেষত আফগানিস্তান, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যে (Fouskas and Gokay, 2005)। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিগ্রস্ত একনায়ক ও তাদের দোসরদের মাধ্যমে সম্পদ দখলের জন্য জ্ঞান, চিন্তা ও দক্ষতাকে ঔপনিবেশীকরণ করেছে।

ঘ বর্গের দেশগুলোর অধিকাংশই লাতিন আমেরিকার— ভেনিজুয়েলা, বলিভিয়া, ইকুয়েডর ইত্যাদি। এ দেশগুলো কয়েক দশক ধরে ‘অভিশপ্ত সম্পদের দেশ’ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু তারা সম্প্রতি এ ফাঁদ থেকে নিজেদের টেনে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছে। নয়া উদারনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তারা রাজনৈতিক পরিবর্তন সূচিত করেছে। সেখান থেকে তারা চেষ্টা করছে নীতি পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক চুক্তির পুনর্মূল্যায়ন এবং নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে উন্নয়নের নতুন দিশা খুঁজে পেতে। এ গ্রুপের সদস্য দেশগুলোকে দারিদ্র্য, প্রতিবন্ধকতা ও সহিংসতার নারকীয় অবস্থা থেকে সংগ্রাম করে বেরিয়ে আসতে হয়েছে। লুণ্ঠন, আধিপত্য ও একনায়কতন্ত্র থেকে নিজেদের জীবন ও সম্পদকে মুক্ত করতে তাদের কয়েকশ বছরের চেষ্টা জারি রাখতে হয়েছে। সম্পদের ওপর জনগণের অধিকার চর্চার এ নতুন ধারা শুধু একটি অর্থনৈতিক পরিবর্তন নয়, এটি নতুন ধরনের এক স্বাধীনতার নির্দেশক (Galeano 1973; ECLAC 2006; Muhammad 2012)।

এই সামগ্রিক প্রেক্ষাপট এবং অভিজ্ঞতার বিভিন্নতা নিয়ে আলোচনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে যে, বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়? সে বিষয়ে যাওয়ার আগে ‘অভিশপ্ত সম্পদ’ (Resource Curse) মডেল নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা প্রয়োজন।

(১০ মে ২০১৪ তারিখে বণিকবার্তায় প্রকাশিত)

(২৪ মে ২০১৪ তারিখে বণিকবার্তায় প্রকাশিত)